আরজি কর আন্দোলনের কোনও সুযোগই দল নিতে পারেনি। এই ইস্যুতে শহরে পার্টির কোনও সুফল হয়নি বলে কলকাতা জেলা সম্মেলনের আলোচনায় উঠে এলে। পার্টির সংগঠনে যে ক্ষয় হয়েছে তা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ্যে এসেছে। শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, নিচুতলায় সংগঠন অধিকাংশ জায়গাতেই ধুঁকছে। পার্টির কর্মসূচি একটানা পালন করার ক্ষেত্রেও কলকাতায় চরম ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
জেলা সম্মেলনের আলোচনায় আরও উঠে এসেছে, এরিয়া কমিটি সেভাবে কাজ করছে না। এছাড়াও সম্মেলনের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নিচুস্তরে কোনও অন্দোলন বা কর্মসূচি হচ্ছে না। এরফলে সংগঠন আরও দুর্বল হয়ে পড়ছে। কেন্দ্রীয়ভাবে কোনও কর্মসূচি নেওয়া হলে জেলার তরফে অংশগ্রহণ প্রায় নেই বললেই চলে। পাশাপাশি কলকাতায় হিন্দিভাষী প্রচারক না থাকায় দল কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে। স্থানীয় কোনও ইস্যু নিয়ে আন্দোলন না হওয়ায় সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছতেই পারছে না দলের কর্মী সমর্থকরা। এই নিয়েই দলে দুশ্চিন্তার কথা সম্মেলনে উঠে এসেছে।
এছাড়াও উঠে আসছে কর্মীদের উৎসাহ না থাকার প্রসঙ্গ। ভোটের সময় বুথে ঝান্ডা বাঁধার লোক পাওয়া যাচ্ছে না। পাশাপাশি দলে পুরুষদের আধিপত্য এখনও প্রতিষ্ঠিত। গুরুত্বপূর্ণ মহিলা মুখ না থাকায় সিপিএম কিছুটা ব্যাকফুটে থেকে গিয়েছে। এছাড়াও দলে তরুণদের যোগদান সম্পর্কে দুশ্চিন্তার কথা শোনা গিয়েছে।
আরজি কর কাণ্ডের পর রাজ্যে যে গণ আন্দোলন শুরু হয়েছিল তাতে দলের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। যদিও এখনও আন্দোলনকারীরা এই আন্দোলনকে গণ আন্দোলনেরই তকমা দিতে বদ্ধপরিকর। তবে এই আন্দোলনে বামেদের পরোক্ষ প্রভাব ছিল বলেই মনে করেন অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এই আন্দোলনের সফলতার পর মনে করা হয়েছিল অন্তত কলকাতা শহরে দলের পারফরম্যান্স ভালো হবে। কিন্তু আন্দোলন শেষে দেখা যায়, কোনও সুফলই হয়নি। সাংগঠনিক ক্ষেত্রে তথৈবচ অবস্থা দলের। জেলা সম্মেলনে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে।