ভয়ঙ্কর বিজেপি দলকে ঠেকাতে কংগ্রেস এবং বামেদের আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর এই আহ্বান কার্যত খারিজ করে দিল বিরােধী দুটি দলই। তাদের সাফ কথা, সাম্প্রদায়িক বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে তারা তৃণমূলের পাশে থাকতে নারাজ।
বিরােধীরা মনে করছেন, রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য দায় এড়াতে পারে না তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রীর এই আহ্বানের কোনও মূল্য নেই তাদের কাছে বলেও জানিয়েছেন বাম-কংগ্রেস দুটি দল।
অন্যদিকে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা জানিয়েছেন, সাম্প্রদায়িক বিজেপির বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী সরব হয়েছেন। এখনও সেই কথাই বলছেন তিনি। এবিষয়ে বিরােধীদের অভিযােগের কোনও গুরুত্ব নেই।
তাঁর প্রশ্ন, রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য তৃণমূলকে দোষারােপ করা হচ্ছে। অথচ সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপির বৃদ্ধির জন্য অন্য সমস্ত দল কি করছে? বামপরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, উনি দিবাস্বপ্ন দেখছেন। তৃণমূল এখন ডুবন্ত জাহাজ। বিজেপির মতাে বিপজ্জনক দলের দায়ভার তৃণমূল কংগ্রেসকেই নিতে হবে। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে শুধু বাম-কংগ্রেসের ভােট নয়, তৃণমূলের ভােটও বিজেপির ভােটবাক্সে গিয়েছে।
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যে আহ্বানই জানান না কেন, বামেরাই একমাত্র বিজেপির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে। অতীতের বামফ্রন্ট আমলে আরএসএস মাথা তুলতে পারেনি। কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। এই দায় মুখ্যমন্ত্রী এড়াতে পারেন না।
অন্যদিকে বিরােধী নেতা আব্দুল মান্নান মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানকে কার্যত খারিজ করে দিয়েছেন। তাঁর সাফ কথা, রাজ্যে বিজেপিকে হাত ধরে নিয়ে এসেছে তৃণমূল। আগে তৃণমূলকে এই ভুল স্বীকার করতে হবে।
বিরােধী দলনেতা জানান, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তারা কাটমানিসহ একাধিক ঘটনাবলী নিয়ে জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এব্যাপারে স্পষ্ট করে কোনও জবাব দেননি। কাটমানি নিয়ে আমাদের প্রতিবাদ চলবে। প্রয়ােজনে চিটফান্ডের মতাে প্রতিবাদও হবে বলে জানিয়েছেন মান্নান।
অন্যদিকে ভাটপাড়ার ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, ভাটপাড়ায় বিজেপিকে ভােট দেওয়ার কি পরিণতি হতে পারে, সেটা এখন সেখানে দেখা যাচ্ছে।
বিজেপির মনােজ টিগ্না পাল্টা বলেন, ভাটপাড়ার মানুষকে মুখ্যমন্ত্রী অপমান করেছেন। তিনি ভাটপাড়ায় শান্তি ফেরাতে পারছেন না অথচ অন্য দলকে দায়ী করছেন। মনােজবাবু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী যা কিছুই বলুন না কেন কাটমানি নিয়ে যুবমাের্চা রাজ্যজুড়ে আন্দোলন করবে।