শুধু দিল্লি নয় সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যেই এই মুহুর্তে চলছে অক্সিজেনের চরম সঙ্কট। পাশাপাশি ঠিকমতাে চিকিৎসাও হচ্ছে বলেই জানা গেছে। তাই বাধ্য হয়েই ভিন রাজ্য থেকে এখন আসছেন কোভিড আক্রান্ত থেকে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার রােগীরা।
এবার অক্সিজেনের চরম সঙ্কটের জন্য সুদূর উত্তরপ্রদেশের অযােধ্যা থেকে এসে চুঁচুড়ার বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হলেন কোভিড আক্রান্ত এক দম্পতি। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গেছে, সুদূর উত্তরপ্রদেশের অযােধ্যার বাসিন্দা লালজি যাদব ও তার স্ত্রী রেখা যাদব সম্প্রতি করােনা টেস্ট করে জানতে পারেন তারা কোভিড পজিটিভ।
পারিবারিক সূত্রে আরও জানা গেছে, রেখাদেবীর তেমন কোনও সমস্যা না থাকলেও তার স্বামী লালজি যাদবের শীরে অক্সিজেনের প্রয়ােজন বলে জানিয়ে দেন সেখানকার চিকিৎসকরা। কিন্তু বর্তমানে যােগী রাজ্যে অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশে অক্সিজেনের চরম সঙ্কট চলছে।
সেখানকার বেশ কয়েকটি নার্সিং হােম ও সরকারি হাসপাতালে তারা অক্সিজেনের জন্য যােগাযােগ করলেও তারা সেখানে তেমন কোনও আশ্বাস পাননি। তকন তারা তড়িঘড়ি যােগাযােগ করেন এরাজ্যের হুগলি জেলার মগরার বাসিন্দা রেখা দেবীর ভাই রবিশঙ্কর যাদবের সঙ্গে।
এরপরই তারা রবিশঙ্করবাবুর কথায় আশ্বাস পেয়ে গত বৃহস্পতিবার ৬০ হাজার টাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে মগরায় এসে পৌছানাের পর চুঁচুড়ার এক বেসরকারি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে সেখানেই তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে রবিশঙ্কর যাদব বলেন, উত্তরপ্রদেশের অযােধ্যায় অক্সিজেনের ঘাটতি থাকায় জামাই বাবুর ঠিকমতাে চিকিৎসা হবে না জানতে পেরে দিদি তাকে ফোন করে কান্নাকাটি শুরু করে। তখনই তাদের এখানে আসার কথা বলাতে তারা রাতারাতি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে এখানে চলে আসে।
শুক্রবার এখানে আসার পরই চুঁচুড়ার বেকারি কোভিড হাসপাতালে তাদের ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের খুবই সাহায্য করছেন বলেও তিনি জানান।