অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের কাছে কেন্দ্রীয় আবাস যোজনায় আর্থিক দুর্নীতির কথা স্বীকার করলো রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এক মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে এই কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দুর্নীতিটি মান্যতা দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার দুর্নীতি হয়েছে তা মানলো রাজ্য। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে তা স্বীকার করল রাজ্য সরকার।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের বিষয়টি পর্যালোচনা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, আগামী দু’মাসের মধ্যে পুরো বিষয়টির পর্যালোচনা করতে হবে বলে আদালত নির্দেশ জারি করেছে।
উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর বিধানসভার অন্তর্গত লোধান গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুযোগ সুবিধা ১৯৭ জন পায়নি বলে অভিযোগ উঠে।
এই অভিযোগ নিয়েই সম্প্রতি মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাকারী নুরজার বেগম জানিয়েছেন, উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখর বিধানসভার লোধান গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের সুবিধা পাননি অনেকে। মোট ১৯৭ জন এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন’। সেখানেই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ।
মামলাকারীর আইনজীবী রামকৃষ্ণ ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘চলতি বছরের অগস্ট মাসে স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল, ১৯৭ জন গ্রামবাসী আবেদন করার পরেও আবাস যোজনার সুবিধা পাচ্ছেন না। আবেদন করার পর তাঁদের কাছে পরিদর্শক এসেছিলেন’।
তিনি পরিদর্শন করে যাওয়ার পরেও নাকি ওই ১৯৭ জনের তালিকা উপর মহলে পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। এই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের পক্ষের সরকারি আইনজীবী স্বীকার করেছেন, ‘১৯৭ জনের আবাস যোজনার সুবিধা পাওয়া উচিত ছিল। এতে প্রশাসনিক ত্রুটি রয়েছে।
এই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আগামী দুমাসের মধ্যে সক্রিয় পদক্ষেপ করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে। আবেদনকারী অবলম্বে আবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করবে।
ওই ১৯৭ জন যাতে অবিলম্বে আবাস যোজনার সুবিধা পেতে পারে, তাই দেখতে বলা হয়েছে স্থানীয় ব্লক প্রশাসনকে’। এখন দেখার কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ কত তাড়াতাড়ি কার্যকর উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রশাসন।