বুধবার দুপুর থেকে আবার উত্তাল রায়দিঘি-ফ্রেজারগঞ্জ। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা রায়দিঘি নন্দকুমার পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ও ফ্রেজারগঞ্জ পঞ্চায়েত অফিসের কাছে আম্ফান ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ এগিয়ে এলে শুরু হয় ধ্বস্তাধ্বস্তি।
ওদিকে এসইউসিআই-এর জেলা কমিটি এদিন বিশাল মিছিল করে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ডেপুটেশন দিল রায়দিঘি থানা ও মথুরাপুর ২ নং ব্লকের বিডিওকে। এ বিষয়ে জেলা কমিটির বিশ্বনাথ সরদার জানান, রায়দিঘি থানার ওসি ও মন্দিরবাজারের আইসি ভালো ব্যবহার করেছেন।
ডেপুটেশন জমা নিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা জমা দিতে বলেছেন। আলাদা করে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা জমা দিতে বলেছেন মথুরাপুর ২ নং ব্লকের বিডিও রেজওয়ান আহমেদও। তিনি নিজে হাতেই ডেপুটেশন নিয়েছেন। এসইউসিআই-এর দাবি, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নতুন তালিকা হোক। পুরনো তালিকা বাদ দিতে হবে। গ্রামের গরিব মানুষের জন্য দ্রুত ১০০ দিনের কাজের ব্যবস্থা। বিডিও আশ্বাস দিয়েছে।
এদিকে বিজেপির দাবি, সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে নিরপেক্ষভাবে প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে হবে। মথুরাপুর ২ নং ব্লকের নন্দকুমার পঞ্চায়েতের স্বপন ঘাঁটু মঙ্গলবার গ্রামবাসীদের চাপে বিডিও পুলিশের সামনে তালিকা তৈরিতে ভুল ছিল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেও, তারপর থেকে বিজেপির কর্মীদের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে হামলা চালানো হচ্ছে। পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের কথায় ভুল অভিযোগ। জানা গেল, পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন ঘাঁটুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিজেপির কর্মী-সমর্থক্লাই এলাকায় অশান্তি করছে। পুলিশকে মানছে না।
এদিকে পুলিশের ওপর একরাশ ক্ষোভ উগরে বিজেপি (পশ্চিম) জেলার প্রাক্তন সভাপতি অভিজিৎ দাস (ববি) বুধবার সন্ধ্যায় ভিডিও বার্তায় জানান, পুলিশ জেনে রাখুক ২১-এ তৃণমূল ক্ষমতায় থাকছেনা। তখন কে কোথায় পোস্টিং নেবেন ভেবে রাখুন। বিজেপি সব হিসেব রাখছে।
কেন এত ক্ষোভ পুলিরে ওপর অভিজিৎবাবুর? অভিজিৎবাবুর কথায় সর্বত্র পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। বিজেপি কর্মীদের মারছে। কেস দিচ্ছে। বুধবারও ফ্রেজারগঞ্জে বিজেপির শান্তিপূর্ণ ডেপুটেশনের সময় তৃণমূলের ছেলেরা এসে গণ্ডগোল করে। পুলিশ বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে।
মহিলা কর্মীদেরও এদিন মারধর করে তৃণমূলের গুণ্ডাবাহিনী। অথচ পুলিশ এসে বিজেপির কর্মীকে গ্রেফতার করে। বিজেপি তো সর্বত্র বিক্ষোভ করছে না। গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ত্রাণ, বাড়ি করার টাকা পাচ্ছে না বলে। স্বজনপোষণ হচ্ছে জেনে। হ্যা, একথা ঠিক, স্বজনপোষণ কীভাবে হচ্ছে, কারা টাকা পাচ্ছে, তা জেনে সেই তালিকা জনগণের হাতে তুলে দিচ্ছে বিজেপি। আর এই কাজটা বিজেপি করবে। সত্য সবাই জানুক।