রাজ্যের করােনার গ্রাফ পরপর দু’দিন উর্ধ্বমুখী। বুধবার এরাজ্যে দৈনিক করােনা আক্রান্তের সংখ্যা পেরলাে ২০০। বাড়ল মৃত্যুও। সব মিলিয়ে রাজ্যের করােনা পরিস্থিতি ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের। স্বাস্থ্য দফতরের এদিনের রিপাের্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় করােনা আক্রান্ত হয়েছে ২০২।
মােট এরাজ্যে করােনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫,৭৪,৩০১ জন। করােনায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে কলকাতায়। আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩। যদিও জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রামে নতুন করে করােনা আক্রান্তের হদিশ মেলেনি। উত্তরে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারেও করােনার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
২৪ ঘণ্টায় এরাজ্যে করােনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। এরা কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা। সব মিলিয়ে করােনায় বাংলায় মােট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০,২৫৬। মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা এই চার রাজ্যে নতুন করে করােনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এই চার রাজ্য থেকে উড়ানপথে কলকাতা বিমানবন্দরে নামলে দেখাতে হবে আরটিপিসিআর নেগেটিভ রিপাের্ট।
বুধবার এই মর্মে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান দফতরকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব এইচ কে দ্বিবেদি। এই চিঠিতে আবেদন করা হয়েছে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ওই চার রাজ্য থেকে উড়ান পথে আসা যাত্রীদের বাহাত্তর ঘন্টার মধ্যে করা আরটিপিসিআর রিপাের্ট দেখাতে হবে। ওই রিপাের্ট নেগেটিভ এলে তবেই এই শহরে প্রবেশের ছাড়পত্র মিলবে।
কোভিড সংক্রমণ যাতে নতুন করে না ছড়িয়ে পড়ে সেই জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানানাে হয়েছে। দেশে কোভিড সংক্রমণ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন কেন্দ্র। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব দেশের সাতটি রাজ্য ও দুটো কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের কর্তৃপক্ষকে ফের কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে লিখিত সতর্ক করার পাশাপাশি, কী কী সতর্কতা পালন করতে হবে তারও পরামর্শ দেন।
কোভিড সংক্রমণের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রের তরফে দেশের দশটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে টিম পাঠানাে হয়েছে। কোভিড নির্দেশিকা পালনে গাফিলতির কারণে দেশে হঠাৎ করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেননা, দেশে নতুন প্রজন্মের করােনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গেছে।
মহারাষ্ট্র, কেরল, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত, পাঞ্জাব, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, জম্মু-কাশ্মীরে কোভিড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানাে হয়েছে। তিন সদস্যের প্রতিটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর নেতৃত্বে রয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রন্দ্রে সচিব পর্যায়ের অফিসাররা। রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে মিলে তারা কাজ চালাচ্ছেন, কেন সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তা বােঝার চেষ্টা করছেন।