আচমকা কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের ওয়েবসাইট। কেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের এই ওয়েবসাইটটি কাজ করা বন্ধ করল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও ফ্রন্টের সদস্য অনিকেত মাহাতো জানিয়েছেন, ওয়েবসাইটটি বন্ধ করা হয়নি। সেটি আন্ডারকনস্ট্রাকশন। এখনও লঞ্চ করেনি। কাজ চলছে। তার জন্য কখনও চালু থাকছে, কখনও বন্ধ থাকছে। যদিও এর মধ্যে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে শাসকদল। ওয়েবসাইট উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
সম্প্রতি বিধাননগর পুলিশ নোটিশ দিয়ে আন্দোলনকারীদের কাছে জানতে চেয়েছিল, কেন ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দেওয়া হল। পুলিশকে সেই নোটিসের জবাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনিকেত। পুলিশকে জানানো হয়েছে, টেকনিক্যাল টিম ওয়েবসাইটের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা।
উল্লেখ্য, আরজি কর আন্দোলনের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের বিরুদ্ধে। আরজি কর কাণ্ডের আবহে চিকিৎসক ফ্রন্টের পাল্টা হিসেবে জুনিয়র চিকিৎসকদের নিয়ে আরও একটি সংগঠন গঠিত হয়েছিল। সেই চিকিৎসক সংগঠনের অভিযোগ, আন্দোলনের নামে যে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা তোলা হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে আরজি কর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ৭ জন জুনিয়র ডাক্তারকে তলব করেছিল বিধাননগর পুলিশ। তখনই তাঁদের এই আর্থিক তহবিল সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওই ৭ জন দাবি করেন, আর্থিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে তাঁরা তদন্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। এই পরিস্থিতিতে ডব্লিউডব্লিউডব্লিউ ডট ডব্লিউবিজেডিএফ ডট কম নামে জুনিয়র চিকিৎসকদের ওয়েবসাইটটি কাজ করা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ফ্রন্টের ওয়েবসাইট আচমকা বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, নির্যাতিতার আবেগকে ব্যবহার করে প্রচুর টাকা তুলেছিল জুনিয়র চিকিৎসকদের সংগঠন। সেই টাকার কী হল তা জানতে চেয়েছেন কুণাল। এই অভিযোগ ঘিরে বিতর্কের মাঝেই ওয়েবসাইট উধাও হয়ে যাওয়ায় রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন তিনি।