গত এক সপ্তাহ ধরে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ও গবেষকদের আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। অভিযােগ, গত সপ্তাহে রেজিস্ট্রারের আশ্বাস সত্ত্বেও ছাত্রছাত্রী ও গবেষকদের সমস্যায় কোনও সুরাহা হয়নি। সােমবার আবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের সেক্রেটারিয়েটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়।
আজ আন্দোলনের বিশেষ মাত্রা হল শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্দোলনে শিক্ষকদের যােগদান। অভিযােগ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রক্রিয়ায় বেনিয়ম, সংরক্ষণ নীতি লঙঘন, শিক্ষকদের পদোন্নতি, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী নিয়ােগে টালবাহানা ইত্যাদি।
এদিকে আজ ছাত্র, গবেষক ও অধ্যাপকদের যৌথ মন প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যের ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান। দুপুর একটা থেকে চারটে পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। গবেষকদের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে টালবাহানা, নিয়ম বহির্ভূতভাবে এমফিল, পিএইচডি’র কোর্স ওয়ার্ক করানাে, ফেলােশিপের টাকা আটকে রাখা ইত্যাদি বিষয়ে উপাচার্য ড. শঙ্কর ঘােষের ঘরের সামনে পােস্টার দেখা যায়।
লােকসংস্কৃতি বিভাগের গবেষক রাজেশ খান বলেন, গবেষণার বিষয় নথিভুক্তকরণ থেকে অন্যায়বাবে ফেলােশিপ আটকে রাখা, রিসার্চ ল্যাবের নানা সমস্যার কত জানানাে সত্ত্বেও কোনও সুরাহা হয়নি। তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন ওয়েটার পক্ষে ড. সুজয় মণ্ডল বলেন, “বিগত চার বছর ধরে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রচুর রেনিয়ম হয়েছে। গত মাসে নির্দিষ্ট অভিযােগের ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষা দফতর তদন্তও শুরু করেছে।
অগণতান্ত্রিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ফলে অবস্থা সবদিক থেকে খারাপ। তার সঙ্গে এবছর স্নাতকের জরে ভর্তি নিয়ে বিস্তর বেনিয়ম ও জটিলতা রয়েছে। দেখা যাক এ ব্যাপারে উপাচার্য কী ভূমিকা নেন।
অন্যদিকে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শঙ্কর ঘােষ বলেন, ‘আন্দোলনে কোনও ছেলেমেয়ে নেই। আজকে অ্যাডমিশন কমিটির এমএ, এমএসসি’র ভর্তি নিয়ে দ্বিতীয় লিস্ট বের করার মিটিং ছিল, সেই মিটিং বানচাল করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। প্রথম মেরিট লিস্ট বেরিয়েছে। তারপর প্রথম অ্যাডমিশন লিস্ট বেরিয়েছে।
এখনও ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। সংরক্ষণে যদি কোথাও ভুল হয়ে থাকে, সেটা সংশােধন হবে। কাউকে বঞ্চিত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। ওদের কোনও ইস্যু নেই। সিন ক্রিয়েটটাই লক্ষ্য। কোন সংস্থার নামে ওরা এসব করছে তাও স্পষ্ট নয়। আমি আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলব। সবকিছুই মেনে ভর্তি চলছে। ওরা বলছে লং পেন্ডিং ইস্যু। লং পেন্ডিং বলে কিছু হয় না।’