• facebook
  • twitter
Thursday, 14 November, 2024

ডিসেম্বরেই ‘বাংলার বাড়ি’র টাকা পেতে পারেন উপভোক্তারা

১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলার সামগ্রিক তালিকায় অনুমোদন দিতে হবে জেলা স্তরের কমিটিকে। ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফান্ড রিলিজ তথা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে।

প্রতীকী চিত্র

কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিসেম্বরেই উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা। ইতিমধ্যেই এর জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি করা হয়েছে। বুধবার রাজ্যের সবকটি জেলাকে এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে নবান্ন। সেখানে বলা হয়েছে, ১৮ নভেম্বরেরর মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সমীক্ষা শেষ করতে হবে। অর্থাৎ বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখতে হবে যে তালিকায় থাকা উপভোক্তাদের সত্যিই বাড়ির প্রয়োজন কি না।

লোকসভা ভোটের আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, চলতি বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে উপভোক্তারা আবাসের টাকা পাবেন। অনেকে এই ঘোষণাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চায়নি। অনেকে ভেবেছিলেন, ভোটের আগে নজর কাড়ার চেষ্টা করছেন অভিষেক। কিন্তু তাঁর ঘোষণাকে সত্যি করে ডিসেম্বরের মধ্যেই বাংলার বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে চলেছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় ১১ লক্ষ ৩২ হাজার গরিব পরিবার ডিসেম্বরের মধ্যেই এই টাকা পেতে পারেন।

জেলায় জেলায় পাঠানো নবান্নের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ১৮ নভেম্বর সমীক্ষা শেষের পর ২৮ নভেম্বরের মধ্যে আবাসের তালিকা প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে। ২৯ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই তালিকা ব্লক, এসডিও ও জেলাশাসকের অফিসে টাঙিয়ে রাখতে হবে। তালিকা নিয়ে কারও কোনও আপত্তি থাকলে এই সময়ের মধ্যেই জানাতে হবে। এই তালিকাকে ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুমোদন দেবে গ্রামসভা। ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে অনুমোদন দেবে ব্লক স্তরের কমিটি।

১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে জেলার সামগ্রিক তালিকায় অনুমোদন দিতে হবে জেলা স্তরের কমিটিকে। ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফান্ড রিলিজ তথা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা চূড়ান্ত করে ফেলতে হবে। এরপর যে কোনও দিন মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ঘোষণা করা হতে পারে। এই তালিকাগুলি ত্রুটিমুক্ত রাখাই এখন সরকারের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। এবিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা মতোই ডিসেম্বর মাস থেকে উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকা শুরু হয়ে যাবে। তারই প্রস্তুতি চলছে।”

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্র টাকা না দিতে রাজ্যই বাড়ি তৈরির করার টাকা দেবে। সেই মতো লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার ডেডলাইনও ঘোষণা করে দিয়েছিলে। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ হতে চলেছে। ডিসেম্বরেই উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের টাকা। প্রথম কিস্তির টাকা হিসেবে প্রায় ৬০ হাজার টাকা করে পাবেন উপভোক্তারা। ট্যাব কেলেঙ্কারির আবহে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের তালিকা ত্রুটিমুক্ত, স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত রাখাই এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ রাজ্য সরকারের।