২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান বদল করল কংগ্রেস। সেই নির্দেশ মেনেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়া থেকে বিরত থাকছে কংগ্রেস। এ প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিলে পরােক্ষভাবে বিজেপিকে কিছুটা হলেও সাহায্য করা হবে। সে কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচন ঘােষণা হওয়ার অনেক আগেই অধীর চৌধুরি জানিয়েছিলেন, ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবে না কংগ্রেস। কিন্তু সােমবার প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ন’জন নেতার মধ্যে দু’জন নেতা মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার কথা বলেন। অধীর চৌধুরি প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের বক্তব্য এআইসিসি’কে সােমবার জানিয়ে দেন।
সেই সঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বামেদের সঙ্গে জোট বজায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কংগ্রেসের তরফে কে প্রার্থী হবেন, তা তিনি জানাননি। তবে তিনি বলেছিলেন, সামশেরগঞ্জে কংগ্রেসের কোনও প্রার্থী থাকছেন না। জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে বামেদের হয়ে প্রচার করবে কংগ্রেস।
সােমবার অধীর চৌধুরি এই মন্তব্য করলেও, মঙ্গলবার তিনি সাফ জানিয়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেস প্রার্থী দিচ্ছে না। উল্লেখ্য, জাতির স্তরে বিজেপি বিরােধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন মমতা। তখনই জল্পনা তৈরি হয়েছিল ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে মমতা প্রার্থী হলে কংগ্রেস নিশ্চয়ই প্রার্থী দেবে না আগামীর কথা ভেবে।
অধীরবাবুও এই একই ধরনের ইঙ্গিত করেছিলেন। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেসের নেতাদের একাংশের চাপে তিনি তাদের মতামত হাইকম্যান্ডকে জানান। কিন্তু আগামী দিনে মােদি-অমিত শাহদের বিজয়রথ রুখে দেওয়া মমতাকে পাশে থাকার বার্তা দিতে এগিয়ে এলেন সনিয়া গান্ধি নিজেই।
এআইসিসি’র তরফে জানিয়ে দেওয়া হল ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী দিচ্ছে না। তবে এখন এটাই দেখার, আলিমুদ্দিন কী করে। যতদূর জানা যাচ্ছে এই নিয়ে আলিমুদ্দিনে আলােচনা চলছে। আলিমুদ্দিনের মাথারা মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করেছন।
তবে এক্ষেত্রে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক বা সিপিআই কী বলে, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে বঙ্গ রাজনীতি। বিজেপি যদিও মমতার-বিরুদ্ধে তেমন ওজনদার নেতা খুঁজে পাচ্ছেন না। অন্যদিকে বিধানসভার বিরােধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর এখন দিল্লিতে রয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ধনকরের বৈঠক হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে ভােট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত চলছে রাজ্যে। রাজ্য সরকার এর বিরােধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে।