• facebook
  • twitter
Monday, 23 December, 2024

আমার বাবাকে প্রাপ্য সম্মান দেয়নি কংগ্রেস অনিতা বসু পাফ

কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করলেন নেতাজি কন্যা অনিতা বসু পাফ।তিনি বলেন, সরকার আমার বাবার মূর্তি ইন্ডিয়া গেটে বসাচ্ছে খুব ভালো লাগছে শুনে।

ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি মূর্তি (Photo:SNS)

ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি মূর্তি স্থাপনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করলেন নেতাজি কন্যা অনিতা বসু পাফ। তিনি বলেন, সরকার আমার বাবার মূর্তি ইন্ডিয়া গেটে বসাচ্ছে খুব ভালো লাগছে শুনে।

কংগ্রেস সরকার আমার বাবাকে তাঁর প্রাপ্য সম্মানটুকুও দেওয়ার কোনওদিন প্রয়োজন মনে করেনি, দেয়ও নি ‘মিসেস পাফ সরাসরি অভিযোগ করে বলেন, ‘ভারতের কংগ্রেস সরকার কোনওদিনই আমার বাবা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে যথাযথ সম্মান জানায় নি কংগ্রেসের একটা অংশ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে ভুল বুঝেছিলেন।

সকলে জানেন, আমার বাবা বিদ্রোহী প্রকৃতির মানুষ ছিলেন, ফলে তাঁকে সামলানো কঠিন ছিল। একটা সময় গান্ধিজীও তাই নেহরুর দিকে চলে গেছিলেন’। কংগ্রেস সবসময় নেতাজির ব্যাপারে উদাসীন ছিলেন।

আঞ্চলিক কিছু রাজনৈতিক দল ভোটে মাইলেজ পেতে নেতাজি কমিটি গঠন করার প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে ভারতীয় রাজনৈতিক দলগুলির রাজনীতি করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনিতা বসু পাফ।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য আমার বাবা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন, সেই দেশেরই বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলো আমার বাবাকে নিয়ে রাজনীতি করছেন। এর থেকে আর খারাপ কি হতে পারে।

ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ম ও সম্প্রদায় ভিত্তিক রাজনীতির প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা নিন্দনীয়। আমার বাবা হিন্দু আদর্শে বিশ্বাস রাখতেন, কিন্তু ধর্মের নামে গোড়ামি করার তীব্র বিরোধী ছিলেন। দেশ ভাগের পর ধর্মের নামে হানাহানির যে ছবি দেখেছি, তা অবর্ণনীয়।

আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আমার বাবা হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী হয়েও এই ধরনের জাতীয় রাজনীতি মেনে নিতে পারতেন না’।

তাঁর কথায়, ‘নেতাজি ফ্যাসিবাদের সমর্থক ছিলেন না কিন্তু দেশকে পরাধীনতার জাল থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে সুভাষ চন্দ্র বসু দু’বার জার্মানির শাসক হিটলারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। বিদেশি শক্তিবল গড়ে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে একটা অন্য লক্ষ্য মাত্রায় পৌছে দেওয়ার জন্য, কিন্তু এর জন্য তাঁর সমালোচনা করা হয়েছিল’।