• facebook
  • twitter
Friday, 27 December, 2024

রেল দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

২০০১ সালের জুন মাসে সত্তরোর্ধ্ব এক ব্যক্তি বীরশিবপুর থেকে রামরাজাতলা স্টেশন যাওয়ার জন্য লোকাল ট্রেনে চেপেছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ট্রেন থেকে পড়ে যান তিনি। ওই বছরের ১৭ জুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

প্রতীকী চিত্র

চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্ট এক মানবিক রায় শোনালো। রাজ্যের উচ্চ আদালতের নির্দেশে কাটল দীর্ঘদিনের আইনি জট। ২৩ বছর পর এবার রেল দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পাবে হাওড়ার এক পরিবার। গত ২০০১ সালে ১৭ জুন ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় হাওড়ার বাসিন্দা কাশীনাথ দলুইয়ের। এরপর ২০০২ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর পরিবারের তরফে রেলের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু মৃতের স্ত্রীর আবেদন যথাযথ না হওয়ার কারণে ক্ষতিপূরণের আর্জি খারিজ করে দেয় রেলের ট্রাইব্যুনাল। এরপরই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ খারিজ করে হাওড়ার ওই পরিবারকে সুদ সমেত ৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেন।

জানা যায়, ২০০১ সালের জুন মাসে সত্তরোর্ধ্ব এক ব্যক্তি বীরশিবপুর থেকে রামরাজাতলা স্টেশন যাওয়ার জন্য লোকাল ট্রেনে চেপেছিলেন। কিন্তু অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে ট্রেন থেকে পড়ে যান তিনি। ওই বছরের ১৭ জুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রেলের ট্রাইব্যুনালের কাছে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানানো হয়। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ বৃদ্ধের পরিবারের তরফে জমা করা আবেদনে ত্রুটি থাকায় তা খারিজ করে দেয়।

শুক্রবার বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের স্পষ্ট নির্দেশ, ওই পরিবারকে আবেদনের তারিখ থেকে এখনও পর্যন্ত বার্ষিক ৬ শতাংশ সুদ সমেত ৮ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রেলকে। আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে রেল কর্তৃপক্ষকে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিড়ের চাপ সামলাতে না পেরে কোনো বড়সড় দুর্ঘটনা এমনকি ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে। তবে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন এমন উদাহরণ খুব কমই দেখা যায়। তবে এবার এমনটাই ঘটতে চলেছে আদালতের নির্দেশে।