সােমবার রাত আটটা থেকে মঙ্গলবার রাত আটটা পর্যন্ত অর্থাৎ ২৪ ঘন্টা কোনও রকম নির্বাচনী প্রচার করতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এদিন এই নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে প্ররােচনামূল বক্তৃতার অভিযােগে মমতাকে পাঠানাে নােটিশ দেওয়া হয়েছিল, তার উত্তরে তারা সন্তুষ্ট নয় কমিশন। সে কারণেই নিষেধাজ্ঞা। এর পরই মমতা টুট করে জানান, মঙ্গলবার তিনি এর প্রতিবাদে গান্ধি। মূর্তির নিচে ধর্নায় বসেন।
নিষেধাজ্ঞার কড়া সমালােচন করে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণার ঘােষ বলেন, মানুষ এর জবাব দেবে। পক্ষপাতদুষ্ট মশন বিজেপির শাখা সংগঠন। ভােটের বাক্সের এর জবাব দেবে মানুষ। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, এটা গণতন্ত্রের পক্ষে কালাে দিন। এর ফলে মমতার মঙ্গলবারের সফরসূচি বাতিল হল।
৩ এপ্রিল মমতা তারকেশ্বরে সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সংখ্যালঘু ভােট ভাগ হতে দেবাে না। বিজেপি এলে মনে রাখবেন সমূহ বিপদ, সবচেয়ে বেশি আপনাদের। কমিশনের যুক্তি, ধর্ম বা জাতপাতের ভিত্তিতে ভােট চাওয়া আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী।
কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন অভিযােগ প্রমাণিত হলে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী তার প্রার্থীপদ খারিজও করা যেতে পারে। তা নিয়েই নােটিশ পাঠায় কমিশন। এরপর কোচ বিহারের জনসভা থেকে বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশেই সিআরপিএফর একাংশ বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে অভিযােগ করেন তিনি।
মমতা বলেন, সিআরপিএফ যদি গন্ডগােল করে মেয়েদের একটা দল মিলে ওদের ঘেরাও করে রাখবেন। আর একটা দল ভােট দিতে যাবেন শুধু ঘেরাও করে রাখলে ভােট দেওয়া হবে না তাই ভােট নষ্ট করবেন না। পাঁচ জন ঘেরাও করবেন পাঁচজন ভােট দেবেন।
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করার মন্তব্যের আগে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক এবং কোচবিহারের শাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছ থেকে রিপাের্ট চেয়েছিল কমিশন। তার জন্য মমতাকে নােটিশ পাঠানাে হয়।
শনিবারই কমিশনের নােটিশের জবাব দেন মমতা। কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য সংক্রান্ত অভিযােগের জেরে নির্বাচন কমিশনের পাঠানাে শােকজ নােটিশের জবাব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা লিখেছেন, সিআরপিএফের প্রতি আমার সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে, দেশের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তায় তাদের অবদান খুব উচুতে। কমিশন সূত্রে খবর গত ২৮ মার্চ এবং ৭ এপ্রিল প্রচার সভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে মন্তব্যের জেরেও নােটিশ পাঠানাে হয়।
প্রসঙ্গত তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার বারাসত, বিধাননগর, হরিণঘাটা ও কৃষ্ণগঞ্জে মমতারসভা করার কথা ছিল। শনিবার কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যুর পরে সেখানেও যাওয়ার কথা মমতার।