কয়লা পাচার কাণ্ডে কেন্দ্রীয় গােয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের সিআইডি তদন্তে নেমেছে। হাইকোর্টের নির্দেশে আসানসােল-দূর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে বেআইনি কয়লা কারবারের তদন্ত করতে শুক্রবারই সিআইডির একটি দল চলে আসে। যার নেতৃত্বে রয়েছে সিআইডি ডিআইজি অজয় ঠাকুর।
এদিন সিআইডির দল ইসিএলের কাজোড়া এরিয়া অফিসে যান। সিআইডি সূত্রে জানা গেছে, বিগত সময়ে আসানসােলের বিভিন্ন থানায় ইসিএলের তরফে কয়লা চুরি নিয়ে মােট ৩৩ টি অভিযােগ দায়ের করা হয়েছিলাে। আপাতত তারমধ্যে তিনটি মামলার তদন্ত করছে সিআইডি।
আরাে জানা গেছে, সিআইডি ইসিএলের ৫ টি এরিয়ায় গিয়ে তদন্ত করবে। অন্যদিকে, তার আগেই আসানসােল-দূর্গাপুর পুলিশকেও দেখা গেল বেআইনি কয়লা কারবারে রাশ টানতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়তে।
কুলটি থানায় সদ্য আসা ওসি অসীম মজুমদার দায়িত্ব পেতেই অভিযানে নামলেন। বৃহস্পতিবার রাতে কুলটির নিয়ামতপুর এলাকা থেকে প্রায় ১০০ টন অবৈধ কয়লা উদ্ধার করলাে পুলিশ। বেআইনি কয়লার ডিপােতে অভিযান চালিয়ে এই কয়লা মেলে বলে জানা গেছে।
কুলটি থানার পুলিশ, বৃহস্পতিবার রাতে খবর পায় যে, কুলটি থানার চৌরাঙ্গি ফাঁড়ি এলাকায় ২ নং জাতীয় সড়কের ধারে একটি ডিপােয় প্রচুর পরিমান অবৈধ কয়লা মজুত রয়েছে। সেইমত কুলটি থানার পুলিশ চৌরঙ্গী ফাঁড়ির পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে ঐ কয়লা উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করে দেখছে এতাে পরিমাণ কয়লা কোথা থেকে এখানে এলাে।
অন্যদিকে, এদিন আসানসােলের জামুড়িয়াতেও সিবিআইয়ের একটি দল হানা দেয়। জামুড়িয়ার শ্রীপুর এরিয়া এলাকায় পনিহাটি, চেলােদ, নড্ডী এলাকায় বৈধ ও অবৈধ খনি এলাকা তারা ঘুরে দেখেন। নিংঘা কোলিয়ারি এলাকায় তারা বিভিন্ন ইসিএল আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে এদিন কাউকে আটক করা হয়নি। এখন এটাই দেখার, কয়লা কান্ডের তদন্ত কতদূর যায়? কোন সংঘাতে জড়ায় কিনা কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই গােয়েন্দা সংস্থা।