কাজে বিশ্বাসী মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের গোয়েন্দা প্রধানকে সরিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব গ্রাফিক্স।

শুধু কথায় না, কাজে করে দেখাতে বিশ্বাসী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিন কয়েক আগে নবান্নে এক বৈঠক চলাকালীন রাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগের কাজ নিয়ে যারপরনাই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তথনই বোঝা গিয়েছিল বড় রদবদল করতে চলেছেন তিনি। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সেই রদবদল হয়ে গেল।
রদবদলের সবচেয়ে বড় কোপটা যার ওপর পড়ল, তিনি হলেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান তথা এডিজি সিআইডি আর রাজশেখরন। তাঁকে সরানোর নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজশেখরনকে পাঠিয়ে দেওয়া হল তুলনামূলক অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ পদে। তাঁকে পাঠানো হল এডিজি আইজিপি ট্রেনিং পদে।
রাজশেখরন ছাড়া এদিনের রদবদলে ৩ জন আইপিএস কর্তার পদের পরিবর্তন হয়েছে। যেমন এডিজি ট্রেনিং পদে ছিলেন দময়ন্তী সেন। তাঁকে এডিজি (পলিসি) পদে আনা হল। আবার এডিজি পলিসি পদে থাকা আর শিবকুমারকে নিয়ে আসা হল এডিজি (ইবি) পদে। এ ছাড়া এডিজি ইবি পদে থাকা আইপিএস কর্তা রাজীব মিশ্রকে পাঠিয়ে দেওয়া হল এডিজি মডার্নাইজেশন পদে।
রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হয়ে কে আসছেন, তা এখনও জানা যায়নি, তবে প্রশাসনের তরফ থেকে জানা গেছে, এই রদবদল সবে শুরু, খুব অচিরেই পুলিশ ও প্রশাসনে আরও রদবদল হবে। এমনকি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দফতরের সচিবদেরও বদল করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত কয়েক দিন ধরেই নানা ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাইরের রাজ্য থেকে অস্ত্র, সমাজবিরোধীরা কী ভাবে রাজ্যে প্রবেশ করছে, পুলিশের কাছে কেন তথ্য থাকছে না, সেই প্রশ্ন তুলছিলেন শাসকদলের নেতারাও। প্রশাসনের অনেকের মতে, সব কিছুকে মিলিয়েই মুখ্যমন্ত্রী খোলনলচে বদলের কথা বলেছিলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর রদবদলের পিছনেও রাজনৈতিক তত্ত্ব খাড়া করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষ কয়েকটি সিদ্ধান্তে বোঝা যাচ্ছে, তৃণমূল অন্দরে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুর পরিবর্তন হয়েছে।’