আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশংসা পাচ্ছে বাংলার কন্যাশ্রী-রূপশ্রী, উচ্ছ্বসিত মমতা

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রশংসা পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’ এবং ‘রূপশ্রী’। ফের একবার ইউনিসেফের প্রতিনিধি এই দুই প্রকল্পের দরাজ প্রশংসা করেছেন। এনিয়ে এক্স হ্যান্ডলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক্স হ্যান্ডলে মমতা লিখেছেন, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি আবার ইউনিসেফের প্রশংসা অর্জন করেছে! ইমপ্যাক্ট ইস্ট ২০২৪-এর কনক্লেভে ইউনিসেফের শীর্ষ আধিকারিক রাজ্যের সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য ‘কন্যাশ্রী’ এবং ‘রূপশ্রী’র মতো প্রকল্পগুলির প্রশংসা করেন।

মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, আমাদের সামাজিক প্রচার এবং জীবন-পরিবর্তনকারী কল্যাণমূলক কর্মসূচিগুলি এভাবেই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্বীকৃতি অর্জন করে চলেছে।


সম্প্রতি কলকাতায় কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজ (সিআইআই) ইস্টার্ন রিজিয়ন আয়োজিত ইম্প্যাক্ট ইস্ট ২০২৪ কনক্লেভে সমাজকল্যাণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প হিসাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের প্রশংসা করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ-এর চিফ ফিল্ড অফিসার মঞ্জুর হোসেন। তিনি সামাজিক উন্নয়নে কন্যাশ্রী ও রূপশ্রী প্রকল্পের গঠনমূলক প্রভাবের কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে শিশুবান্ধব সমাজ গঠনে সরকার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করছে এবং সিএসআর তহবিল ব্যবহার করা হচ্ছে সমাজসেবামূলক কাজে।

কিছুদিন আগে কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানেও ইউনিসেফ থেকে রাজ্যের একাধিক সামাজিক প্রকল্পের প্রশংসা করা হয়েছিল। মেয়েদের স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে কন্যাশ্রীর মতো প্রকল্প শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বে চালু করা উচিত বলেও জানিয়েছিল ইউনিসেফ।

ইউনিসেফের প্রতিনিধি আরিয়ান দে ওয়াগত সে সময় বলেছিলেন, কন্যাশ্রী প্রকল্প নারীদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইউনিসেফের শিশু পুষ্টি ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে যে কাজগুলো হচ্ছে, সেগুলো কন্যাশ্রীর মাধ্যমে আরও সফল হচ্ছে। প্রকল্পটি কিশোরীদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করছে এবং বাল্যবিবাহ রোধে বড় ভূমিকা রাখছে।

২০১৩ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে চালু হওয়া কন্যাশ্রী প্রকল্প ইউনেসকোর কাছ থেকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। এই প্রকল্পটি কেবল রাজ্যের নয়, গোটা দেশের জন্য একটি উদাহরণ হয়ে উঠেছে এবং বাল্যবিবাহের হারও উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়েছে।