• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

আধিকারিকদের সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

তাঁর নির্দেশে পাহাড়ের বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য বাের্ড গঠন করা হয়েছে। এখন মুখ্যমন্ত্রী চান, সেই সব বাের্ডের অডিট করানাে হােক।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (File Photo: IANS)

তাঁর নির্দেশে পাহাড়ের বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য বাের্ড গঠন করা হয়েছে। এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, সেই সব বাের্ডের অডিট করানাে হােক। কোথায় কত বাড়ি তৈরি হয়েছে, কোথায় বাড়ি তৈরি হয়নি, কোথায় তা অসম্পূর্ণ অবস্থায় রয়েছে সবকিছুরই হিসেব করাতে হবে। সব অডিট হয়ে গেলে তিনি পরে সেসব পরীক্ষা করবেন। কার্শিয়াঙে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।

বুধবার তিনি কার্শিয়াঙে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। মুখ্যমন্ত্রী সেখানে বলেন, বিভিন্ন উন্নয়নবাের্ডগুলােকে বাড়ি তৈরির জন্য অনেক টাকা দিয়েছি। সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য তিনি আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। এরই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দার্জিলিং পাহাড়ের রাস্তাঘাট সব ভালাে করতে হবে। কারণ এখানে অনেক পর্যটক আসেন। লাল কুঠির কাছেও রাস্তা ঠিক করতে হবে। রং করা হবে ম্যালের।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার প্রশাসনিক বৈঠক সারেন। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা ছাড়াও মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস সহ আরও অনেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। কার্শিয়াঙের বিভিন্ন রাস্তা ও পরিবেশও এদিন পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে সরাসরি না বললেও মুখ্যমন্ত্রী ঠেরেঠোরে বুঝিয়ে দেন, সদ্য সমাপ্ত লােকসভা ভােটের ফলাফলে তিনি খুশি নন। তবে তিনি যে পাহাড়ে শান্তি চান এবং পাহাড়ের আরও উন্নয়ন চান সেকথাও বারবার বুঝিয়ে দেন বৈঠকে। বৈঠকে পাহাড়ের উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলােচনা করেন। অনেক নতুন নতুন প্রকল্প সম্পর্কেও আলােচনা করেন। 

পাহাড়ের মানুষ কিভাবে ভালাে থাকবেন সেকথাও তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে আসে। এদিন কার্শিয়াং থেকেই মুখ্যমন্ত্রী সমতলেরও অনেক কাজের শুভ উদ্বোধন করেন। এদিন তিনি পাহাড় থেকে জলপাইগুড়ির লােকোবা মার্কেট কমপ্লেকসের উদ্বোধন করেন। ওই মার্কেটটি তৈরি করেছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর। এরজন্য খরচ হয়েছে এগার কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকা। শিকারপুর হাটে রয়েছে মার্কেটটি।

প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী সােমবার শিলিগুড়ি আসেন। সােমবার শিলিগুড়িতে পুলিশ কমিশনারেটের বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত থেকে মঙ্গলবার তিনি শিলিগুড়ি উত্তরকন্যাতে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জেলার উন্নয়নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। মঙ্গলবারই তিনি কার্শিয়াঙে যান পাহাড়ের উন্নয়নমূলক কাজের বৈঠক করতে।

বুধবার তিনি কার্শিয়াঙে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। পচিশ তারিখ তাঁর কলকাতায় ফেরার কথা। পাহাড়ের বিভিন্ন মহল বলছে, তিনিই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী যিনি বারবার পাহাড়ে ফিরে আসছেন। পশ্চিমবঙ্গে কোনও মুখ্যমন্ত্রী অতীতে এভাবে বারবার পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য নিজে কলকাতা থেকে পাহাড়ে হাজির হয়ে বৈঠক করেননি।

তাছাড়া পাহাড়কে শান্ত করে পাহাড়ের মানুষের কর্মসংস্থানের কথা তিনিই বারবার বলে গিয়েছেন। পাহাড়ের পর্যটন বিকাশ হলে সেখানকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে, আর কর্মসংস্থান হলে সামগ্রিকভাবে পাহাড়েরই উন্নতি হবে একথা তিনি বারবার জোরের সঙ্গে বলে গিয়েছেন। আর এই কারনে তিনি পাহাড়ে শান্তি চেয়েছেন।

পাহাড়ের মানুষ তাঁকে ভােটে প্রত্যাখান করলেও তিনি আবার পাহাড়ে এসেছেন পাহাড়কে ভালােবাসেন বলেই, অন্তত পাহাড়ে তাঁর অনুগামীরা এমন কথাই বলতে শুরু করেছে। তারা বলেছে, মুখ্যমন্ত্রী আছেন বলেই পাহাড়ে এখনও শান্তি রয়েছে। এর আগে পাহাড়ে ঘন ঘন বনধ আর হিংসার আগুনে সেখানকার মানুষের এক দুর্বিসহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিলাে।