বাজারে নিত্যপ্রয়ােজনীয় জিনিসপত্রের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মধ্যবিত্তের এখন মাথায় হাত। শুধু শাকসবজিই নয়, মাছ, মাংস, ডিম থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুর দাম- বড়েই চলেছে। এমতাবস্থায় মূল্যবৃদ্ধি রােধে শুক্রবার বিকেলে নবান্নে টাস্ক ফোর্সের জরুরি বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছেন তিনি। এই বৈঠকে সমস্ত মন্ত্রীর রিপাের্ট কার্ড নেবেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে দীর্ঘ আট মাস পরে টাস্ক ফোর্সের বৈঠক বসছে। এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করে মূল্যবৃদ্ধি রােধে কড়া পদক্ষেপের কথা জানাবেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনকেও আসতে বলা হয়েছে।
নিত্যপ্রয়ােজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির জের হিসাবে ভিন রাজ্যগুলিতে বৃষ্টি এবং বুলবুল ঘূর্ণিঝড়কেই দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা। পেঁয়াজের দামও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।
কোলে মার্কেটের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেছেন, নাসিক থেকে পেঁয়াজ আমদানি কম হচ্ছে। বাজারে জোগান কম, স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ কেজি প্রতি আশি টাকা বিকোচ্ছে। বিগত মাসে এর দাম ছিল কুড়ি টাকা।
অন্যদিকে আদা, পালং শাক এমনকি আলুর দাম বেড়ে চলেছে। চন্দ্রমুখী আলু পঁচিশ টাকা এবং জ্যোতি আলু খােলা বাজারে পচিশ এবং আঠারাে টাকার মধ্যে ঘােরফেরা করছিল। এখন দুই প্রজাতির আলুর দাম ক্রমশ ঊর্ধ্বগতি।
অন্যদিকে খুচরাে বাজারে ধনেপাতার দর তিনশাে টাকা ছাড়িয়ে যাবার মতাে অবস্থা হয়েছে। রুই কাতলা, পমফ্রেট, চিংড়ি থেকে সমস্ত মাছের দামও আকাশছোঁয়া হওয়ায় সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ এম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। টাস্ক ফোর্সের সদস্য রবীন্দ্রনাথ কোলের কথায়, বৃষ্টির জন্য সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, সারা দেশেই পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। বাংলাদেশকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলেও সমস্যার কোনও সমাধান হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।