• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে অবিলম্বে পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী

পানীয় জলই তাঁর সব থেকে যে বড় প্রতিশ্রুতি তা আরেকবার বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (File Photo: IANS)

পানীয় জলই তাঁর সব থেকে যে বড় প্রতিশ্রুতি তা আরেকবার বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি পানীয় জল সরবরাহের বিষয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের অবিলম্বে পানীয় জলের ব্যাবস্থা করার নির্দেশ দেন তিনি। কাজ না হলে শাস্তির কথা বলেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেন টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দেরি নিয়েও। এদিন রাঁচিতে হেমন্ত সােরেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ করে কপ্টারে করে পুরুলিয়া আসেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেল পৌনে চারটে নাগাদ তাঁর কপ্টার পুরুলিয়া পুলিশ লাইনে আসার পরই পাশেই জেলা পুলিশের প্রেক্ষাগৃহে ঢুকে যান। এই বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা সহ উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের সচিবরা। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতাে, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুড়ু সভাধিপতি সুজয় বন্ধ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।

এদিন জেলার উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলােচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বিভিন্ন খতিয়ান দেন জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। মুখ্যমন্ত্রী এক এক করে সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করতে থাকেন। এদিন জেলার তিন বিধায়কের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা। কাশিপুরের বিধায়ক স্বপন বেলখরিয়াকে সংগঠনের তুলনায় জনসংযােগের প্রতি বেশি মনােনিবেশ করতে বলেন। নিতুড়িয়ার বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরিকেও তিনি নিজের কাজ ভালভাবে করার কথা বলেন। জনপ্রতিনিধিদের তিনি নিজেদের কর্তব্য করতে বলেন। সেই সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দেন যে তাঁর সরকার টাকা নিয়ে কোনও কাজ করে না। জনপ্রতিনিধিদের শুধু চাই চাই করা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি ৩৪ বছরের বাম জমানার কথাও উল্লেখ করেন।

এর মধ্যেই রঘুনাথপুর ১ নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অষ্টমী হাঁসদা বিডিও’র বিরুদ্ধে বলতে উঠলে ভৎর্সনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দেন, প্রশাসনিক বৈঠকে এধরনের কথা তিনি শুনবেন না। এ দিন জেলার চিকিৎসক নিয়ােগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতির কথা বলে অবিলম্বে তিনি জেলার প্রত্যন্ত এলাকার তেলিয়াভাসা, কেরুয়া, লতাপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক নিয়ােগ করারও নির্দেশ দেন। তবে প্রশাসনিক বৈঠকের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেওয়া হয়নি সাংবাদিকদের। এমনকি বৈঠকের পরও সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই সার্কিট হাউসের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান। আজ সেখানে রাত্রিবাস করে আগামীকাল এনআরসি ও সিএএ-র বিরুদ্ধে পদযাত্রা করবেন তিনি।