৬২ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর দেহ উদ্ধার হল সিভিক ভলান্টিয়ারের। বৃহস্পতিবার সুন্দরবনে পিকনিক করতে গিয়েছিলেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম প্রীতম পানুয়ার। রবিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ গোপালগঞ্জের নবিপুকুর নদীর ধারে তাঁর দেহ মেলে। কলকাতা পুলিশের গড়িয়া ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত ছিলেন তিনি। এটা খুন না দুর্ঘটনা, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কুলতুলি ব্লকের কৈখালি জেটিঘাটের পাশেই মাতলা নদীতে নৌকা থেকে পড়ে গিয়েছিল প্রীতম। সুন্দরবনে পিকনিক করতে এসেছিলেন তিনি। ওই দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকে কুলতলি থানার পুলিশ এবং সিভিক ডিফেন্স তল্লাশি অভিযান শুরু করে। নিখোঁজ হওয়ার পর বিস্তর খোঁজাখুঁজির চললেও তাঁর সন্ধান মেলেনি। অবশেষে প্রায় ৬২ ঘণ্টা পর নদীর চর থেকে দেহ উদ্ধার হল।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা কুলপি থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে ১১ জনের দল সুন্দরবনে পিকনিক করতে এসেছিল। সেই দলে থাকা প্রীতমের বন্ধুদের দাবি, প্রীতম পা পিছলে মাতলা নদীতে পড়ে যায়। এতজন বন্ধু থাকতে একজন এভাবে পড়ে তলিয়ে গেল কেমন করে? সেই প্রশ্ন উঠছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে দেহ পাওয়া যায়। তা নিয়েও নানা সন্দেহ দানা বেঁধেছে পরিবারের সদস্যদের মনে।
কুলতুলি থানার পুলিশ জানিয়েছে, ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট এলে মৃত্যু আসল কারণ জানা যাবে। পিকনিকের দলে থাকা ওই ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথাও ভাবছে পুলিশ। প্রীতম পানুয়ার পরিবারকে খবর দিয়েছে কুলতুলি থানার পুলিশ। কেমন করে নদীর চরে এল দেহ? এটা খুন নাকি দুর্ঘটনা? এই ঘটনার পিছনে কারও হাত আছে? এইসব প্রশ্নের উত্তর এখন খুঁজছে পুলিশ।