সােমবার দিনভর শীতলকুচির ১২৬ নং বুথের আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রে হাজির হন সিআইডির ডিআইজি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে ছিলেন তদন্তকারী সংস্থার অন্যান্য আধিকারিকরাও। ছিল রাজ্যপুলিশের কয়েকজন আধিকারিক।
এদিন গােটা স্কুল চত্বর ঘিরে ফেলা হয়। গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার নির্বাচনের দিন শীতলকুচির এই বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের মৃত্যু হয়। ওই দিন কে কোন অবস্থানে ছিলেন তা পুলিশ কর্মী এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে সেদিনের পরিস্থিতি বােঝার চেষ্ট করেন তদন্তকারীরা।
পুলিশ কর্মীদের পাশাপাশি ভােটের দিন বুথে উপস্থিত থাকা স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। স্থানীয় দুই মহিলা বিলকিস খাতুন এবং মেরিনা খাতুনকেও এদিন ডেকে পাঠানাে হয়। তাদের সঙ্গে কথা হয় সিআইডি আধিকারিকদের।
কি কারণ গন্ডগােলের সুত্রপাত তা জানতে চাওয়া হয় এই দুই মহিলার কাছ থেকে। সেই সঙ্গে তারা কি কি দেখেছিলেন তাও জানতে চান তদন্তকারীরা। চার স্থানীয় বাসিন্দা নুর মহম্মদ হােসেন, মাের্তাজা মিয়া, লাবু হােসেন এবং সফুিদ্দিন মিয়াকে এদিন মাথাভাঙা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
সিআইডির ডিআইজি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের সম্বন্ধে জানতে প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রত্যেকের কথা জানাটা খুব জরুরি। ঘটনার প্রত্যেকটা দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঠিক কি ঘটেছিল তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সব কথা এখনই বলা সম্ভব নয়।