প্লাস্টিকের ডিমের পর এবার চিনা রসুন। বাংলার বেশ কিছু বাজার নাকি ছেয়ে গিয়েছে চিনা রসুনে। এই রসুন ব্যবহার করলে কিডনি ও লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এবার ময়দানে নামল পুলিশ। হাওড়ার গুদাম থেকে কয়েক লক্ষ টাকার চিনা রসুন উদ্ধার করল সাঁকরাইল থানার পুলিশ। এই ঘটনায় গোড়াউন ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোথা থেকে ওই রসুন এল, তা জানার চেষ্টা চালাছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২৫৪ ব্যাগ চিনা রসুন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। প্রত্যেকটি ব্যাগে আবার ১৮ কেজি করে রসুন ছিল। বাজেয়াপ্ত রসুনের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। গোডাউনের ম্যানেজার উপেন্দ্র যাদবকে গ্রেপ্তার করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। হিমাচল প্রদেশ থেকেই মূলত এই রসুন আসত। অনেক সময় উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে এই চিনা রসুন নিয়ে আসা হত বলে জেরায় জানিয়েছে উপেন্দ্র।
গত মঙ্গলবার রাতে এক ট্রাক রসুন মজুত করা হয়। সেগুলি হাওড়া, কলকাতা-সহ শহরতলির বিভিন্ন বাজারে পাঠানোর কথা ছিল। হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, মূলত চোরাই পথে এই সমস্ত রসুন পশ্চিমবঙ্গে এসে পৌঁছেছে। অধিক লাভের আশায় সেগুলিই রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে পাঠানোর কথা ছিল। অরবিন্দ জয়সওয়াল নামের এক ব্যবসায়ী এই গোডাউনে রসুন মজুত করেছিল। তাঁর সন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ।
চিনা রসুনে বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে মিথাইল ব্রোমাইডও। সেই কারণে ২০১৪ সালে চিনা রসুন আমদানি বন্ধ করে ভারত সরকার। সূত্রের খবর, নিষেধাজ্ঞা জারি করা সত্ত্বেও বিহার, উত্তরপ্রদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্যগুলোতে চিন থেকে চোরাপথে এই রসুন ঢুকছে। দীর্ঘদিন এই রসুন খেলে লিভার, কিডনি ও স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।