ফের বিমান বিভ্রাটের শিকার মুখ্যমন্ত্রী মধ্য আকাশে ঘুরল মমতা ব্যানার্জির বিমান। শুক্রবার বিকালে বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে বিমানে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী।
বিমানটির বিকেল ৫.৪৫ মিনিট নাগাদ তা কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল। কিন্তু বিমানবন্দরের মাটি ছোঁয়ার আগে মধ্য আকাশে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে মমতার বিমান চক্কর কাটে।
বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তার ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরপরই নবান্ন থেকে অভিযোগ জানানো হয় এয়ারপোর্ট অথরিটিকে। শুক্রবার নবান্নে হার্দিক প্যাটেলের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক ছিল। বিমান নামতে দেরি করায় বৈঠক পিছিয়ে দিতে হয়।
বৈঠকের কারণেই তড়িঘড়ি কলকাতায় ফিরে আসছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নির্ধারিত সেই বৈঠকের সময়সীমা একটু পিছিয়ে যাওয়ার কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেন তিনি। এই ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও করেন মমতা।
যদিও বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে নবান্নকে জানানো হয়েছে কলকাতার মধ্য আকাশে এয়ার ট্রাফিকে চাপ থাকার কারণেই মুখ্যমন্ত্রীর বিমান অবতরণে দেরী হয়েছে। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে সেকেন্ডারি রানওয়ে ব্যবহার করা হচ্ছিল, তাই একটি বিমানের নামার পরে আর-একটি বিমান নামার মধ্যে সময় রাখতে হচ্ছিল।
২০১৬ সালের নভেম্বরে বিহারের পাটনা থেকে সভা করে কলকাতায় ফেরার পথে নির্ধারিত সময়ের থেকে প্রায় আধ ঘণ্টারও বেশি সময় পর বিমাটিকে কলকাতায় অবতরণ করানোর অভিযোগ উঠিছিল।
ওই দিন রাত ৮ টা নাগাদ বিমানবন্দরে অবতরণের কথা থাকলেও প্রায় ৪০ মিনিট আকাশে চক্কর কাটার পর বিমানটি অবতরণের অনুমতি পায়। সেই ঘটনাতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা।
এবার তিনি ফিরছিলেন উত্তরবঙ্গ সফর সেরে। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শিলিগুড়ি উত্তরকন্যায় ছিলেন, ওইদিন বিকেলেই তিনি ফেরেন দার্জিলিং থেকে জি টি এ বৈঠক সেরে। তার আগে বুধবার হিমাল তরাই প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার বিতরণ করেন।
সাত মাস পর মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফর বিভিন্ন মহলে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। শিলিগুড়িতে অবিশ্য তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। শুক্রবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী বিমানে বাগডোগরা থেকে কলকাতা ফেরেন।