বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী নােবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের পৈতৃক বাড়ি ‘প্রতীচী’র মধ্যে বিশ্বভারতীর জায়গা রয়েছে বলে দাবি করে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যে বিতর্ক তৈরী করেছেন, তা নিয়ে তােলপাড় হচ্ছে সারা দেশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উপাচার্যের বক্তব্যকে ঘিরে তৈরী হয়েছে বিতর্ক। উপাচার্যের মন্তব্যের প্রতিবাদে বিদ্বজনেরা রাস্তায় নেমেছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপাচার্যের মন্তব্যের প্রতিবাদ করার সাথে সাথে এ ব্যাপারে অমর্ত্য চিঠি লেখে তাঁর পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। ২৮ ডিসেম্বর বােলপুরের গীতাঞ্জলি সংস্কৃতি অঙ্গনে বীরভূম জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে যােগ দিয়ে তিনি জানিয়ে দেন যে, অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে দিয়ে যে রাস্তাটি গিয়েছে, তা রাজ্য পূর্ত দফতরের রাস্তা ছিলাে। বিশ্বভারতীর আবেদনে সাড়া দিয়ে ওই রাস্তা রাজ্য সরকার বিশ্বভারতীকে হস্তান্তর করেছিলাে।
কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ওই রাস্তা দিয়ে সাধারণের চলাচল বন্ধ করে দিয়ে চরম অসুবিধার সৃষ্টি করছিলেন। তাই আজই তিনি ওই রাস্তা পুনরায় রাজ্যের ফিরিয়ে নেওয়ার ফাইলে সই করে তারপর বােলপুরে এসেছেন। বিশ্বভারতীর অনেকেই তাঁকে চিঠি লিখে এ ব্যাপারে তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেছিলেন। ওই রাস্তাটি সরকার বিশ্বভারতীর কাছ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে তা পুনরায় সকলের জন্য খুলে দিচ্ছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী চীন সীমান্তে শহীদ ভারতীয় সেনা বাহিনীর জওয়ান রাজেশ ওরাং-এর বােন শকুন্তলার হাতে সরকারের প্রতিশ্রুতি মতাে চাকরির নিয়ােগপত্র তুলে দেন। এদিন জেলা প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বীরভূম ছাড়াও রাজ্যের অন্য কয়েকটি জেলার সরকারি প্রকল্পের উদ্ধাধনও করেন।
সেই সাথে তিনি এদিন রাজ্য সরকারের নতুন কর্মসূচী ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’-এর ঘােষণা করে জানান, রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচী যথেষ্ট সাফল্য পেয়েছে। এবার ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচীতে প্রশাসনিক আধিকারিক এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযােগের বিষয়ে দেখেশুনে তার সমাধান করবেন। এদিন তিনি সকলকে আশ্বস্ত করে জানান যে, জেলার প্রস্তাবিত দেউচা-পাঁচামি কয়লা খনির জন্য ওই এলাকার একজন মানুষকেও তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে উচ্ছেদ করা হবে না।