আগামী মঙ্গলবার গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্য প্রশাসনিক ভবন নবান্নতে এই বৈঠকের আয়োজন করা হবে। শুক্রবার গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী ও সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী আগ্রহ প্রচুর। কুম্ভ মেলার মতো গঙ্গাসাগর মেলাকেও জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, গঙ্গাসাগর মেলায় অর্থ সাহায্য দেয় না কেন্দ্র। সম্প্রতি গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার তকমা দেওয়ার দাবি জানিয়ে রাজ্যসভায় সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। গতবারই সাগরমেলার উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘কুম্ভমেলার থেকেও বড় এই মেলা। অথচ কুম্ভের জন্য আর্থিক সাহায্য করলেও গঙ্গাসাগর মেলার জন্য এক পয়সাও দেয় না কেন্দ্র।’ বিষয়টি নিয়ে আসরে নেমেছিল তৃণমূলও। তাদের বক্তব্য ছিল, সারা দেশ থেকে আসা পুণ্যার্থীদের জন্য কেন্দ্র এই দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না।
আগামী মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসক সহ একাধিক দপ্তরের সচিবদের প্রস্তুতি বৈঠকে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগকে সামনে রেখেই গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি জোড়কদমে চালাতে চান মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে আয়োজিত হতে চলা প্রস্ততি বৈঠকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা থাকবেন।
উল্লেখ্য, মুড়িগঙ্গা নদীর উপর চার কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সেতু তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। বৈঠকে পূর্ত, বিদ্যুৎ, নগর উন্নয়নসহ বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রীরা বৈঠকে হাজির থাকবেন। একাধিক মন্ত্রীকে গঙ্গাসাগর মেলার সময় দায়িত্ব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। গতবারের মেলায় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বঙ্কিম হাজরা, অরূপ বিশ্বাস, স্নেহাশিষ চক্রবর্তী ও ইন্দ্রনীল সেনকে মন্দিরের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা। কচুবেড়িয়ায় দায়িত্বে ছিলেন সুজিত বোস, গিয়াসুদ্দিন মোল্লা, ও মণীশ গুপ্ত। লট-৮-এ ছিলেন মন্টুরাম পাখিরা ও দিলীপ মণ্ডল ও জ্ঞানবন্ত সিং। এবছর কোন কোন মন্ত্রীকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হবে তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।