• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

পদত্যাগ করলেন শােভনদেব ভবানীপুরে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

পদত্যাগের পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখােমুখি হয়ে বলেন, দলনেত্রীকে জায়গা ছেড়ে দিতেই তিনি ইস্তফা দিলেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একটি আসনে জয়লাভ করা খুবই জরুরি।

বিধানসভার স্পিকার বিমান ব্যানার্জির কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। (ছবিঃদিলীপ দত্ত)

ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে স্বেচ্ছায় বিধায়ক পদ ছেড়ে দিলেন শােভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে আসেন। পদত্যাগের পরে তিনি সাংবাদিকদের মুখােমুখি হয়ে বলেন, দলনেত্রীকে জায়গা ছেড়ে দিতেই তিনি ইস্তফা দিলেন।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর একটি আসনে জয়লাভ করা খুবই জরুরি। ভবানীপুর মুখ্যমন্ত্রীর নিজের জায়গা সেই কারণেই তিনি স্ব-ইচ্ছায় ওই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সরে এলেন। তবে তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য অর্থাৎ কৃষিমন্ত্রীর পদেই বহাল থাকবেন শােভনদেববাবু।

তবে এরপর তিনি অন্য কোনও আসনে প্রার্থী হবেন কিনা, সেটা দলনেত্রীই ঠিক করবেন। প্রসঙ্গত বরাবর রাসবিহারী কেন্দ্র থেকেই প্রার্থী হতেন শােভনদেব চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে ভবানীপুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুরনাে আসন। একুশের নির্বাচনে একরকম চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হয়েছিলেন নন্দীগ্রাম থেকে।

সেই কারণেই মমতার গড় ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হয়ে বিজেপি প্রার্থী রুদ্রনীল ঘােষকে পরাজিত করেন শােভনদেব চট্টোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হওয়ায় নিয়মানুযায়ী তাকে অন্য কোনও আসন থেকে জিতে আসতে হবে।

তৃণমূল সূত্রে খবর, ভবানীপুরে নিজের পুরনাে কেন্দ্রেই প্রার্থী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের পুরনাে সৈনিক শােভনদেব চট্টোপাধ্যায় দলের প্রথম বিধায়ক। একসময় বারুইপুরের কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন। ১৯৯৮ সালে তৃণমূল দল গড়ার পরে রাসবিহারী কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি।

কংগ্রেস বিধায়ক হৈমী বসুর মৃত্যুতে এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন হয়েছিল। তখন তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে সেই উপ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন শােভনদেব। এভাবেই প্রথম বিধানসভায় প্রবেশ ঘটে তৃণমুলের। বাংলাকে রক্ষা করার জন্যই শােভনদেব চট্টোপাধ্যায় ভবানীপুর কেন্দ্রটি ছেড়ে দিলেন বলে জানান শােভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

আগেও দলের নির্দেশেই মমতার গড় রক্ষা করার জন্যই ভবানীপুর থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন জানিয়েছেন শােভনদেবাবু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৩৬ বছরের সুসম্পর্ক তার। এই মূহর্তে মুখ্যমন্ত্রীর তার নিজের কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে জিতে আসা খুব জরুরি। সেই কারণেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দিলেন বলে জানান শােভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

তবে ইস্তফা দিলেও তাকে নতুন করে কোনও আসন থেকে জিতিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্যের। নিয়মানুযায়ী বিধায়ক না থাকলেও কৃষিমন্ত্রী থাকতে হলে আগামী ছ’মাসের মধ্যে কোনও আসন থেকে জিতে আসতে হবে তাঁকে।

সেক্ষেত্রে তাকে খড়দহ থেকে উপনির্বাচনে লড়তে পারেন শােভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী অর্মিত মিত্র কোথা থেকে প্রার্থী হবেন, তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। তবে কৃষিমন্ত্রীর পদ না দিয়ে শােভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে রাজ্যসভার সদস্য করার জল্পনাও উঠেছে। তবে সুত্রের খবর, রাজ্যসভার সদস্য হতে রাজি নন শােভনদেব চট্টোপাধ্যায়।