ঝাড়গ্রাম- হাতের কাছে মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়ে বিভিন্ন আর্জি জানালেন স্থানীয়রা। মুখ্যমন্ত্রী আর্জি শুনলেন এবং আশ্বাসও দিলেন।
বেলপাহাড়িতে প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকে পরিষেবা প্রদান এবং একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাসের পর ঝাড়গ্রাম ফেরার পথে কুড়চিবনিতে থামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়। আর তখন স্থানীয়দের মধ্যে প্রবল উৎসাহ।
মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়কে এতদিন হুশ করে চলে যাওয়া দেখতেও অভ্যস্ত জঙ্গলমহলবাসী। এযেন স্বপ্ন। বিশ্বাসই হচ্ছিল না তাদের। বাঁকুড়া জেলার শালতোলা গ্রামের উত্তম রুইদাসি প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে জানান তাঁর দুরারোগ্য অসুখের কথা। আশা, যেন সাহায্য করে সরকার।
উত্তমবাবু পরে জানান, মুখ্যমন্রী জ যে কথা বলেছেন, এটেই তিনি খুশি। কুড়চিবনি গ্রামের রূপালি রুইদাস, তারাপদ মন্ডল সহ এলাকার অনেকের মধ্যে কেউ আর্জি করলেন কন্যাশ্রী, কেউ বার্ধক্যভাতা তো কেউ বা এলাকার পানীয় জলের সঙ্কট মেটানো।
আবার নারানপুর থেকে বেলপাহাড়ি পর্যন্ত রাস্তা চওড়া করার আর্জিও করলেন অনেকে। মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে তখন মানুষের মেলা। কে কি বলবেন যেন দিশা পাচ্ছিলেন না।
মুখ্যমন্ত্রীর এদিন ঘোষণা করা একগুচ্ছে প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম হল রাতে বাসের পরিষেবা। বৃহস্পতিবার বেলপাহাড়িতে জঙ্গলমহলে রাতের বেলা বাসের পরিষেবা চালু করার দাবি জানানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
শুক্রবার ঝাড়গ্রামে রিভিউ মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবহণ দফতরের সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জঙ্গলমহলে রাতের বেলা বাসের পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে। প্রচারের অভাব থাকায় সব স্তরে হয়ত এই খবর পৌঁছয়নি।
জঙ্গলমহল বিগত পাঁচ বছর ধরেই শান্ত। অশান্তির কোনও ঘটনা নেই। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই রাতের বেলা বাস পরিষেবা চালু করার কথা উঠেছিল। বাস না থাকায় বিকেল বিকেল মানুষকে খড়গপুর, ঝাড়গ্রাম বা মেদিনীপুর ফিরতে হয়।