দেশে প্রথম বৈদ্যুতিক ভেসেল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব চিত্র

বৃহস্পতিবার দেশের প্রথম ইলেকট্রনিক ফেরি ভেসেলের সূচনা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন আউট্রাম ঘাট থেকে ফ্ল্যাগ নেড়ে অত্যাধুনিক ই-ভেসেল টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন তিনি। গঙ্গাসাগর মেলা চলায় অনেক পুণ্যার্থী এখানে এসেছেন। যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই বিদ্যুৎ চালিত ভেসেল অত্যন্ত উপকারে আসবে মানুষের বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। ইলেকট্রনিক ভেসেলের জেরে বায়ুদূষণ বা জলদূষণ হবে না বলেও জানা গিয়েছে।বিদ্যুৎ পরিচালিত এই ভেসেল তৈরিতে রাজ্যের খরচ হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ দূষণ কমাতে গেলে এই উদ্যোগের অত্যন্ত প্রয়োজন। পরিবেশকে বাঁচাতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে বিদ্যুৎ চালিত এই ভেসেল। এতে যাত্রীরা যেমন আরও বেশি সুরক্ষিত হবেন তেমনই অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন ভেসেল সফরে।’‌পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গেছে , এই লঞ্চ তৈরি করেছে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স।

এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি। সেক্ষেত্রে জল দুর্ঘটনার সম্ভাবনা একেবারে কমে যাবে বলে জানা গিয়েছে। এই অত্যাধুনিক ই–ভেসেলটি এসি এবং নন এসি দুটি ব্যবস্থাই থাকছে। যা যাত্রীদের বাড়তি সাহায্য করবে। এখন শীতকাল নন–এসি পরিষেবা নিতে পারবেন সকলে। আর গরমকাল পড়লে এসি পরিষেবা নিতে পারবেন। এসির মধ্যে ৩০ জন যাত্রী এবং নন এসিতে ৬২ জন যাত্রী নেওয়া যাবে। মিলেনিয়াম পার্ক থেকে বেলুড় মঠ হয়ে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাবে এই অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ফেরি ভেসেল।পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক জানান, ‘মোট ১৫০ জন যাত্রীকে বহন করার ক্ষমতা সম্পন্ন একটি লঞ্চ চালাতে ঘণ্টায় ১০ লিটার ডিজেল খরচ হয়। সেখানে ইলেকট্রিক ব্যাটারি চালিত এই ভেসেল মাত্র দু’‌ঘণ্টায় ৩০ কিমি পথ একটানা চলতে পারবে।’‌ মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানান, আগামী দিনে আরও ১২টি ই–ভেসেল এবং ১২টি বার্জ চালানো হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই ই–ভেসেল চালালে জ্বালানি খরচ বাঁচবে। আবার দূষণ কমবে। হাওড়া ছাড়াও হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা–সহ অন্যান্য জেলার নানা ঘাটে লঞ্চ পরিষেবা আছে। আগামী দিনে বাকি জেলাতেও ই–ভেসেল চালানো হবে।