• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শিলিগুড়িতে কালীপুজোর উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর

কার্শিয়াঙের গিদ্দা পাহাড়ে নেতাজি স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক গিদ্দা পাহাড়ে উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (File Photo: IANS)

কার্শিয়াঙের গিদ্দা পাহাড়ে নেতাজি স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক গিদ্দা পাহাড়ে উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় তিনি নেতাজির প্রতি ফুল মালা দিয়েও শ্রদ্ধা জানালেন। বুধবারও তিনি কার্শিয়াঙে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বৈঠক করেন।

বৃহস্পতিবার পাহাড় ছাড়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী যান নেতাজি স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি ও মিউজিয়ামে। নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত গিদ্দা পাহাড়ের সেই বাড়িটি বহুদিন ধরে অবহেলিত ছিল। দুহাজার সতেরাে সালে রাজ্য সরকার সেই বাড়িটির সংস্কার করে সুন্দর এক রুপ দিয়েছে।

নেতাজির ব্যবহার করা আসবাবপত্র এবং বাড়ির ভিতরে থাকা ঐতিহাসিক সব নথি ঠিকঠাক রেখেই বাড়িকে নতুন রুপ দেওয়া হয়েছে। সেই বাড়ির কেমন অবস্থা তা স্বচক্ষে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সেখানে উপস্থিত হন।

মুখ্যমন্ত্রী সেখানে বলেন, ব্রিটিশের সময় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু দুবছর এই বাড়িতে নজরবন্দি ছিলেন। দু’বছর সেই বাড়িতে থেকে নেতাজি কাজ করেছিলেন। সেই বাড়িটির ভগ্নদশা চলছিলাে। সেই বাড়িটির নতুন রুপে সংস্কার করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এদিন সেখানে। দাঁড়িয়ে আরও বলেন, এটি একটি ঐতিহ্যমন্ডিত বাড়ি এবং ঐতিহাসিক স্থান।

এই মাটিরই মানুষ নেতাজি দেশের জন্য যা করেছেন তা ভােলার নয়। আই এন এ গঠন, জয় হিন্দ এমনকি প্ল্যানিং কমিশন বাের্ড গঠন সবই তাঁর অবদান। নেতাজি দার্জিলিংয়ে গিয়েও কয়েকবার সময় কাটিয়েছেন। গাের্খা সেনাদের তিনি ভালােবাসতেন। সেই কারনে মা মাটি মানুষের সরকার নেতাজি জন্মজয়ন্তী বিগত কয়েকবছর ধরে নেতাজির জন্মজয়ন্তী দার্জিলিংয়েই পালন করছে।

এই দেশপ্রেমিককে মুখ্যমন্ত্রী এদিন তাই নিজে কার্শিয়াঙের গিদ্দা পাহাড়ের বাড়ি গিয়ে শ্রদ্ধা জানান। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী এদিনই কার্শিয়াং থেকে শিলিগুড়ি চলে আসেন। তিনি রয়েছেন উত্তরকন্যাতে। শুক্রবার তাঁর কলকাতায় ফিরে যাওয়ার কথা।

এদিন বিকালে কার্শিয়াং থেকে উত্তরকন্যাতে ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি প্রধান নগরে বিপ্লব স্মৃতি অ্যাথলেটিক ক্লাবের কালী পুজোর উদ্বোধন করেন। এই প্রথম রাজ্যের কোনও মুখ্যমন্ত্ৰী উত্তরবঙ্গে কোনও কালী পুজোর উদ্বোধন করলেন।

মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে এদিন প্রধান নগরের ওই এলাকাতে ব্যাপক উন্মাদনা তৈরি হয়। অপরদিকে বুধবার বিকালে মুখ্যমন্ত্রী কার্শিয়াঙের ডাউহিল পরিদর্শনের সময় জেলা প্রশাসনের কয়েকজন আধিকারিককে বকুনি দেন। ডাউহিলে একটি স্টেট গেস্ট হাউস তৈরি হবে। তার পাশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ক্যাম্পাস তৈরি হবে। কিন্তু গেস্ট হাউস তৈরির সেই স্থান নির্বাচন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কার্যত বকুনি দেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের। তার পাশেই ছিলেন জেলা শাসক দীপাপ প্রিয়া পি।

মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কি করে গেস্ট হাউস? টাকাটা কি জলে যাবে? সেখানে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তৈরি হবে। কিন্তু কাজ দেখে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সবটাই আমি করে দেবাে? আপনারা একটু দেখে কাজ করতে পারেন না। আমি বলি এক, হয় আর এক।