অসুস্থ পরিবহ মুখােপাধ্যায়কে শনিবার হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে মত পাল্টান তিনি। পরিবর্তে আহত এই জুনিয়ার ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
সােমবার রাতে রােগীর পরিবারের প্রহারে গুরুতর জখম হন জুনিয়ার ডাক্তার পরিবহ মুখােপাধ্যায়। তাঁকে মল্লিকবাজার ইন্সটিটিউট অফ নিউরাে সায়েন্সে ভর্তি করা হয়। আপাতত বিপদমুক্ত হলেও সারা জীবনের জন্য পরিবহ গাড়ি চালাতে বা সাঁতার কাটতে পারবেন না, এমনটাই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
শুক্রবার তাঁকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। শনিবার দুপুরে জানা যায়, পরিবহকে দেখতে হাসপাতালে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই সময় জুনিয়ার ডাক্তারদের তরফে জানানাে হয়, নবান্নে গিয়ে তাঁদের কোনও প্রতিনিধি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন না। পরিবর্তে এনআরএস-এ এসে মুখ্যমন্ত্রীকে কথা বলতে হবে, এই প্রস্তাব রাখা হয় জুনিয়ার ডাক্তারদের তরফে।
এরপরেই জানা যায়, পরিবহ মুখােপাধ্যায়কে দেখতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে না গিয়ে তিনি নবান্নে যান। তবে এদিন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং স্বাস্থ্য সচীব রাজীব সিংহ অসুস্থ এই জুনিয়ার ডাক্তারকে দেখতে যান।
কিন্তু কেন মত পাল্টালেন মুখ্যমন্ত্রী? অভিজ্ঞমহলের একাংশের ব্যাখ্যা, জুনিয়ার ডাক্তারদের সঙ্গে নবান্নে আলােচনার মাধ্যমে সুস্থ একটি সমাধানে আসতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি পরিবহর সঙ্গে সরাসরি দেখা করে পরিস্থিতি সহজ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জুনিয়ার ডাক্তাররা নিজেদের দাবিতে অনড় থাকায় মত পাল্টান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই ধারণা অভিজ্ঞ মহলের।