পাহাড়ে যখন উত্তাপ বাড়ছে তখন বিনয়-অনিতদের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাের্খা জনমুক্তি মাের্চার বিনয় গােষ্ঠীর ভাইস প্রেসিডেন্ট সতীশ পোখরেল জানিয়েছেন, ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুর তিনটের সময় জিটিএ-এর দুই মাথা বিনয় ও অনিতকে বৈঠকে ডেকেছেন মমতা।
যদিও, নবান্নের তরফে এব্যাপারে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানানাে হয়নি। কয়েকদিন আগেই বিনয় তামাংদের যুব মাের্চা বিরাট মিছিল করেছিল পাহাড়ে। সােনাদার সেই মিছিলের মূল সুর একটাই— বিমল গুরুংয়ের বিরােধিতা। তারপর শনিবার কার্শিয়াংয়ে একই রকম মিছিল করে বিনয় তামাং, অনিত থাপাদের অনুগামীরা।
প্রসঙ্গত, ইউএপিএ ধারা সহ একাধিক মামলায় অভিযুক্ত বিমল গুরুং তিন বছর ধরে ফেরার ছিলেন।হঠাৎ পঞ্চমীর বিকেলে কলকাতায় তার আবির্ভাব হয়। প্রথম সল্টলেকের গােখা ভবনে দেখা যায় গুরুংকে। সেখানে ঢুকতে বাধা পেয়ে সােজা চলে যান বিবাদি বাগ অঞ্চলে ললিত গ্রেট ইস্টার্ন হােটেলে।
সন্ধ্যায় সেখানে সাংবাদিক বৈঠক করেন গুরুং। জানিয়ে দেন, বিজেপি তথা এনডিএ-এর সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়েছেন তিনি। একুশে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান বলে জানান। তৃণমূলও ঘটা করে স্বাগত জানায় গুরুংকে। এর থেকেই পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়।
গুরুংবিরােধী বিনয়-অনিতরা প্রকাশ্যে কিছু না বললেও তাদের অনুগামীরা রাস্তায় নেমে পড়েন। যষ্ঠীর দিন কালিম্পংয়ে পােস্টার পড়ে যায়, গুরুং পাহাড়ে এলে তিস্তা ভাসবে রক্তে। এর মধ্যেই গুরুংপন্থী নেতারা তৎপরতা শুরু করে দেন টাকভােরে গােপন বৈঠকও সরেন তারা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গুরুংয়ের সঙ্গে সংঘাতে না গিয়ে ভারসাম্য রক্ষার বার্তা দিতেই বিনয়, অনিতদের ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু নবান্নে সেই বার্তা দিলেও পাহাড়ে তা কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন।