দীর্ঘ ১১ বছর পর নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়ােগ করলেন জঙ্গলমহলের সুপরিচিত ছত্রধর মাহাত। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভােট দান করে রীতিমতাে খুশির মেজাজে ছত্রধর বাবু। লালগড়ে এদিন স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে বীরকাঁড় গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভােটের লাইন দেখা গেল এক সময়ের পুলিশ সন্ত্রাসবিরােধী জনসাধারণের কমিটির নেতাকে।
দীর্ঘ প্রায় দশ বছরের কারাবাসের পর মুক্ত হয়েছেন তিনি। ফিরে এসেছেন নিজের গ্রামে। এই বীরকাঁড় গ্রাম থেকেই তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন। সাংবাদিকের ছদ্মবেশের আড়ালে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল ছত্রধর মাহাতকে।
জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার কয়েক মাস পরেই যোগদান করেছিলেন তৃণমূলে। তিনি বর্তমানে রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। শনিবার ছত্রধর বাবুর ভােটদান ঘিরে উৎসাহ ছিল স্থানীয় মানুষদের মধ্যে। তিনি তাঁর স্ত্রী নিয়তি মাহাত এবং ছেলে ধৃতিপ্রসাদ মাহাত ভােট দিতে সাড়ে ন’টা নাগাদ চলে এসেছিলেন। তাঁর ভাই এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরাও ভােট দিয়েছেন।
এই বীরকাঁড় গ্রামে ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশ কৌশলে গ্রেফতার করেছিল তাঁকে। আজ সেই গ্রামেই বুথে ভােট দিয়ে আপ্লুত তিনি। নিজের গ্রাম আমলিয়া থেকে আধ কিমির মধ্যে এই বীরকাঁড় বুথ।
তিনি ভােট দেওয়ার পর বলেন, ‘আমি ১১ বছর পরে এই বার ভােট দিলাম। এই ভোট দেওয়ার অনুভূতিই আলাদা। প্রথমবার ভােট দেওয়ার ভালাে লাগার থেকেও এই ভােট দান আমার কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এমন একটা দলকে ভােট দিয়েছি, যারা কিনা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসছে। সেই দলের প্রার্থীকে ভােট দিয়েছি। এটা আমাদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।’