রাজস্থান থেকে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এর ফলে জলীয়বাষ্প পূর্ণ বায়ু ঢুকছে রাজ্যে। একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম বাতাসের কারণে ঢুকছে জলীয়বাষ্প।
এই দুই কারণে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আগামী বেশ কয়েক দিন বৃষ্টি চলবে বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে স্থানীয় ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার হচ্ছে।
ফলে বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলার কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-সহ গোটা রাজ্যেই তাপমাত্রা একই রকম থাকবে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ব্যাপারেও কোনও নিষেধাজ্ঞা বা সতর্কতা নেই।
আগামী কয়েক দিন কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে হাওয়ার সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গেও।
পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ভিজতে পারে বৃষ্টিতে। এছাড়া কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই আগামী কয়েকদিন বজ্রবিদ্যুৎ – সহ বৃষ্টি অথবা ঝোড়ো ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে বলে খবর।
বুধবার কলকাতার আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও গরম ও অস্বস্তি এখনই কাটবে না। এদিন সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৫ ডিগ্রি।
গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৪ ডিগ্রি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৮৫ শতাংশ বৃষ্টি হয়েছে সামান্য।
আবহাওয়া দপ্তরের খবর অনুযায়ী, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং আন্দামান সাগরের বেশিরভাগ অংশ ও দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এই মৌসুমী বায়ু সম্পূর্ণ আন্দামান এবং দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে বেশিরভাগ অংশ এবং পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরের একাংশে প্রবেশ করবে।
যার জেরে আন্দামানে আগামী ৩ দিন টানা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দেশে বর্ষার অনুকূল পরিবেশ বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা।