পশ্চিমবঙ্গকে আবাস যোজনার ১৪০০ কোটি টাকা দিল কেন্ত্রীয় সরকার। শুক্রবারই তৃণমূল কংগ্রেস সরকার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছিল। চলতি শীতকালীন অধিবেশনের পঞ্চম দিনে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পের তহবিল আটকে রাখার অভিযোগ তুলে শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পেশ করা হয়। তার একদিনের মধ্যে টাকা পাঠানোর খবর প্রকাশ্যে এল।
রাজ্য সরকার সূত্রের খবর, শেষবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্রীয় তহবিল দেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে। পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্পের আওতায় বাড়ি বরাদ্দে অনিয়মের বেশ কয়েকটি অভিযোগ উঠেছে। গত কয়েক মাসে এই ইস্যুতে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবারও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকার এবং ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পিএমএওয়াই-এর অধীনে বাড়ি বরাদ্দে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। শুভেন্দুর দাবি, মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে এই প্রকল্পে ১৭টি বাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে।
প্রোটোকল অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৬০ শতাংশ খরচ কেন্দ্রীয় সরকার বহন করে, বাকি ৪০ শতাংশ রাজ্য সরকারকে বহন করতে হয়। যেহেতু এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারে অংশিদারিত্ব রয়েছে, তাই রাজ্যের তরফে আবার এই প্রকল্পের না বাংলা আবাস যোজনা দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের অক্টোবরে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পেট্রাপোলের স্থলবন্দরে নতুন প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন ও মৈত্রী দ্বার উদ্বোধনে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যের বিরুদ্ধে তিনি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাপক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ করেছিলেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ করেন, মনরেগা এবং পিএমএওয়াই-এর মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সাহায্যযুক্ত প্রকল্পের অধীনে দেওয়া তহবিল প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছয় না। সেই টাকা থেকে শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাই লাভবান হচ্ছেন।
এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দেওয়ায়, এই আবাস যোজনার প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের তহবিল থেকেই মানুষকে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দুটো কিস্তিতে টাকা দেওয়া হবে। প্রথমে ৬০ হাজার পরে আরও ৬০ হাজার। এবছর ১১ লক্ষ মানুষকে টাকা দেওয়ার কথা ছিল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে সেটা বাড়িয়ে ১২ লক্ষ করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসেই বাংলা আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকার কথা রয়েছে।