রাজ্যপালের নিরাপত্তায় আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (Photo: IANS)

রাজ্যপাল বনাম রাজ্য প্রশাসন সংঘাতের পারদ আরও একপ্রস্ত চড়ল। উপলক্ষ্য এবার রাজ্যপালের নিরাপত্তা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের নিরাপত্তায় রয়েছে ফাকফোকর এমনই দাবি রাজ্য বিজেপি’র। তাই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে কেন্দ্রিয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানায় রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সেই চিঠিতে পড়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের শিলমাের। বাড়ছে রাজ্যপালের নিরাপত্তা।

সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ইতিমধ্যেই রাজ্যভবন ঘুরে গিয়েছেন সিআরপিএফ’র চার আধিকারিক। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সমস্ত খাঁটিনাটি বিষয় নিয়ে অন্তবর্তি আলােচনা শুরু করেছে সিআরপিএফ বলে রাজভবন সুত্রের খবর। তারা কথা বলবেন রাজ্য পুলিশ ও আইবি’র শীর্ষ কর্তাদের সাথেও বলে জানা গিয়েছে।

এত দিন জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এবার তা আরও এক ধাপ বাড়ছে। রাজ্য পুলিশের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনীই নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করছে। রাজ্যের একাধিক ঘটনায় রাজ্য পুলিশে আস্থা হারিয়েছেন রাজ্যপাল। 


পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, এই রাজ্যে পদার্পন করার পরেই বর্তমান রাজ্যপালের নিরাপত্তা বাড়ানাের বিষয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানাে হয়। সেই অনুযায়ী পাইলট কার, এসকর্ট ছাড়াও বাড়তি বাহিনী মােতায়েন করা হয়। সেখানে ছিল ২ জন সাব ইন্সপেক্টর এবং ৬ জন কনস্টেবল পদাধিকারি পুলিশকর্মী।

এই অতিরিক্ত বাহিনী পূর্বতন রাজ্যপাল কেশরিনাথ ত্রিপাঠিও পেতেন না বলে জানান তিনি। তবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের জন্য বরাদ্দ রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত বাহিনী আগামী দিনেও থাকবে কিনা তা এখন স্থির করতে পারে একমাত্র নিরপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআরপিএফ আধিকারিকরাই। এই নিয়ে অবশ্য তাঁরা রাজ্য আইবি’র শীর্ষ কর্তার সঙ্গে আলােচনা করতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন।

প্রসঙ্গত প্রশাসনের অনুরােধের ভােয়াক্কা না করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র ত্রাতা হিসেবে ছুটে যাওয়া নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ও রাজ্যের শাসকদলের মধ্যে সংঘাতের সুত্রপাত। সম্পর্কের চিড় ক্রমশ বাড়তে থাকে রাজ্যের একাধিক ঘটনায় রাজ্যপালের নিজস্ব বিচারভঙ্গি ও মন্তব্যকে কেন্দ্র করে। এরপরেই আসে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে শিক্ষক পরিবারের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। এই ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।

এখানেই শেষ নয়, রাজ্য সরকার আয়ােজিত পুজোর কার্নিভালে তাঁকে কোনঠাসা করে রাখা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হন রাজ্যপাল। যা রাজ্য সরকার ভালাে চোখে দেখেনি। এই নিয়ে সরকারের তরফ থেকে মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জবাব ঘিরে উভয়পক্ষের সংঘাতের জল্পনা আরও প্রকাশ্যে এনে দেয়। আর এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সিআরপিএফ’র হাতে হস্তান্তরের সর্বশেষ ঘটনা রাজ্য সরকার ও রাজাপালের বিরােধে নতুন মাত্রা যােগ করুল।