আজ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সুন্দরবনে

আম্ফানে উপড়ে পড়া গাছ পরিষ্কার করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। (Photo: IANS)

শুক্রবার কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসছেন সুন্দরবনের আম্ফান বিধ্বস্ত অঞ্চল পরিদর্শনে। বৃহস্পতিবারই শহরে পৌঁছে গেছেন তাঁরা। দলটি দুটি ভাগে সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ-গোসাবা রাঙাবেলিয়া অঞ্চল ও এদিকে পাথরপ্রতিমা অঞ্চলে যানে। পাথরপ্রতিমা কলেজে পরিদর্শনের আগে একটি বৈঠকও হওয়ার কথা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে। এ নিয়ে চলছে তৎপরতা।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেল, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে বারোটায় পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমায় আসেন। শুত্রবার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের আগে তিনিও একটি বৈঠক করেন পাথরপ্রতিমার পরিস্থিতি নিয়ে। এবং লঞ্চে করে পাথরপ্রতিমার বিভিন্ন অঞ্চল উত্তর গোপালপুরের নদীবাঁধ ঘুরে দেখেন। শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে ছিলেন পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা, মহকুমা শাসক, সুন্দরবনের পুলিশ, জেলার সুপার সহ সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা।

এদিন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী নদীবাঁধ পরিদর্শনের সময়ে বাঁধ মেরামতির কাজে রত সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের জানিয়ে দেন, আপাতত এই চেষ্টা করতে হবে আসন্ন পূর্ণিমার কোটালের জল যেন বাঁধ ভেঙে উপচে আবার না গ্রামে ঢোকে। ঠেকা দিতেই হবে।


সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে সন্ত্রকম সহযেগিতা করতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক ঘুরিয়ে দেখতে হবে। সুন্দরবনকে স্বাভাবিক করে তুলতেই হবে। একথা এদিন শুভেন্দুবাবু জানিয়ে দেন বিধায়ক ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের।

প্রসঙ্গত, আম্ফান ঝড়ের পরে বিধ্বস্ত এলাকা দেখে কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে জানিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্র থেকে আসা দলকে সবরকম সহযোগিতা করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, আবার কেন্দ্রীয় দল আসার আগের দিনই শুভেন্দু অধিকারীর পাথরপ্রতিমায় আসা তৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে পাথরপ্রতিমার মানুষ।

এদিকে বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার (পশ্চিম) প্রাক্তন সভাপতি অভিজিৎ দাস (ববি) বৃহস্পতিবার বিকেলে জানান, পাথরপ্রতিমার কলেজে কেন্দ্রীয় দলের বৈঠকের সময় এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের ক্ষোভের কথা জানাবে কেন্দ্রীয় দলের প্রতিনিধিদের।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ সবাই ঠিকমতো ত্রাণ পাচ্ছে না। এটা নিয়ে কোনও রাজনীতি নয়। বাস্তব ঘটনা তুলে ধরা। বুধবারও পাথরপ্রতিমার বিডিওকে ক্ষোভের কথা জানিয়েছে এলাকাবাসী। সর্বদলীয় কমিটি না গড়ে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে বলে প্রকৃত মানুষরা বঞ্চিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে পাথরপ্রতিমার বিজেপির মণ্ডল কমিটির সদস্যরা কথা বলবে। বিজেপি চায় তৃণমূল-বিজেপি-সিপিএম ক্ষতিগ্রস্ত, সবাই ত্রাণ পাক।