পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিজেপি বিধায়ককে তলব সিবিআইয়ের

পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে ফের ময়দানে নামল সিবিআই। এবার তলব করা হল এক হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়কপকে। সিবিআই সূত্রে খবর, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে। আগামী শুক্রবার সিবিআইয়ের দপ্তর নিজাম প্যালেসে বেশ কিছু নথিপত্র সমেত ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।

নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি পার্থসারথি এক সময় রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই সময় পুরসভাটি তৃণমূলের দখলে ছিল। একুশের ভোটে আগে বিজেপিতে যোগ দেন পার্থ। গেরুয়া শিবিরের টিকিটে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন তিনি।

সিবিআই সূত্রে খবর, রানাঘাট পুরসভায় কর্মী নিয়োগেও কারচুপি হয়েছে। রানাঘাট পুরসভার এক্সজিকিউটিভ অফিসার সম্প্রতি সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিয়েছিলেন। পার্থসারথি যেহেতু একটা সময় রানাঘাট পুরসভায় সর্বেসর্বা ছিলেন, তাই তাঁকে নিয়োগ কেলেঙ্কারি জিজ্ঞাসাবাদ করলে তথ্য মিলবে বলে আশাবাদী সিবিআই।


তদন্তকারীদের দাবি, পার্থসারথি রানাঘাট পুরসভার দায়িত্বে থাকাকালীনই এই নিয়োগগুলি হয়েছে। কীভাবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া হল, তা জানার জন্যই পার্থসারথিকে সিবিআই তলব করেছে বলে খবর। এর আগে পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়ন শীল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

গোয়েন্দাদের তদন্তে উঠে আসে, রীতিমতো রেট চার্ট মেনে টাকা নিয়ে অবৈধ ভাবে নিয়োগ করা হত রাজ্যর পুরসভাগুলিতে। মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের পুরসভায় চাকরিতে ঢোকানো হত। সেই টাকা চলে যেত অয়ন শীলের হাতে। পরে সেই লভ্যাংশের টাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে পাঠানো হত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত অয়ন শীলের সূত্র ধরে রাজ্যের প্রায় ৬০টি পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। অভিযোগ, লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি দেওয়া হয়েছে।

২০১৮-১৯ সাল নাগাদ এই দুর্নীতি হয়েছে। তদন্তে নেমে সিবিআই একাধিক পুরসভায় তল্লাশি শুরু করে। পুরপ্রধান ও পুরসভার অন্যান্য আধিকারিকদের বাড়িতেও তল্লাশি চলে। ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও হয়। এর আগে হালিশহর পুরসভাতেও সিবিআই তল্লাশি চালিয়ে গিয়েছে।