আর জি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সন্দীপের বাড়ি ছাড়াও রবিবার সকাল থেকে মোট ১৫ টি জায়গায় অভিযান চালাল সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন সকাল পৌনে ৭টা নাগাদ আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে যায় সিবিআই। প্রায় ৭৫ মিনিট বাইরে অপেক্ষা করার পর বাড়ির দরজা খোলেন সন্দীপ ঘোষ। তারপর বাড়িতে ঢোকেন তদন্তকারী অফিসাররা। এদিন বেলেঘাটা, কেষ্টপুর, টালা, হাওড়া সহ বিভিন্ন অভিযান চালিয়েছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, রবিবার সিবিআই আধিকারিকদের কয়েকটি দল শহর ও জেলার বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে আর জি করের আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেন। এন্টালিতে আর জি করের প্রাক্তন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠের বাড়িতেও যায় সিবিআই। কয়েকঘণ্টা তল্লাশি অভিযান চালানোর পর সঞ্জয়কে নিয়ে তাঁর অন্য একটি বাড়িতে যান তদন্তকারী অফিসাররা। পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহকারী বিপ্লব সিংহের হাওড়ার বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়। এছাড়াও সন্দীপের ‘ঘনিষ্ঠ’ দেবাশিস সোমের কেষ্টপুরের বাড়িতেও তল্লাশি করা হয়। বেলগাছিয়ার জেকে ঘোষ রোডে এক ক্যাফে মালিকের বাড়িতে এবং টালায় চন্দন লৌহ নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তদন্তকারী আধিকারিকরা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এই আর্থিক অনিময়ের তদন্ত করতে রবিবার সিবিআইয়ের একটি দল আর জি করের প্রশাসনিক ভবনে যান। এছাড়াও হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে তদন্ত করেন । হাসপাতালের বর্তমান অধ্যক্ষ মানসকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়কে হাসপাতালে ডেকে কথা বলেন আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রথমে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন হাসপাতালের প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি। ১৬ আগস্ট সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। কিন্তু আখতার আলি হাইকোর্টে গিয়ে এই মামলার তদন্তভার ইডি–কে দেওয়ার আবেদন জানান। তবে মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ । সেই মতো রবিবার থেকে তদন্ত শুরু করে দিল সিবিআই।