কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রাজ্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট)-এর উপরই আস্থা রাখলেন আনিস খান মামলায়।
হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যা মামলায় চার মাস পর রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্তের দরকার নেই বলে জানান বিচারপতি মান্থা।
রাজ্য পুলিশের সিট-ই তদন্ত চালাবে আনিস খান মামলায়। চার্জশিটও পেশ করবে সিট-ই। ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করছেন বলে জানান আনিসের বাবা।
এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসে আনিস খানের মৃত্যু হয় যার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠে। ঘটনার তদন্তের জন্য গঠন হয় বিশেষ তদন্তকারী দল।
যদিও হাইকোর্টে আনিসের বাবা সালেম খান গিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করেন।
কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট আস্থা রাখেন পুলিশি তদন্তের উপরই। যদিও তদন্ত এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে আদালতের নানান প্রশ্নের মুখ পড়েছে পুলিশি তদন্ত।
আগে যদিও রাজ্যের তরফে প্রশ্ন আসে হাইকোর্টে, যে আনিসের মৃত্যু খুন কিংবা আত্মহত্যা নয়, সেটা ‘দুর্ঘটনা’ বলা যেতে পারে। কিন্তু তা পুলিশের গাফিলতি হয়েছে কিনা তা জানা দরকার।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানান, ঘটনার দিন রাতে আনিস নিজেই, না কি পুলিশের ধাক্কায় ছাদ থেকে পড়ে যায়, তার কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। কিন্তু পুলিশের গাফিলতির ব্যাপারটা পরিষ্কার।
আদালত শুনানি চলাকালীন মনে করান, আনিস খান সংক্রান্ত ঘটনার সূত্রপাত এক মোবাইল বার্তা থেকে যা পাঠানো হয়েছিল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ফোন থেকে।
এবং মূল অভিযোগ যেহেতু এখানে পুলিশের বিরুদ্ধেই, তাই এর পেছনে কোনও বড় ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত আছে কিনা, তা আদালত খতিয়ে দেখতে বলেছে।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার আনিসের ঘটনায়, এক থানার মামলায় অভিযান চালিয়েছে অন্য থানার পুলিশ।
যা সম্পূর্ণ ভুল প্রক্রিয়া। এমন পরিস্থিতিতে সোজাসুজি আঙুল উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেই। যার জন্য এর আগের শুনানিতে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যকে।