মুকুলের ফ্ল্যাটে মির্জাকে বসিয়ে জেরা সিবিআইয়ের

মুকুল রায় (Photo: IANS)

নারদা কাণ্ডে ধৃত আইপিএস মির্জার সঙ্গে সিবিআই দফতরে শনিবারই প্রায় আড়াই ঘণ্টা মুখােমুখি বসিয়ে জেরা করা হয় বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার সকালে মির্জাকে নিয়ে মুকুলের এলগিন রােডের ফ্ল্যাটে হাজির হন রঞ্জিত কুমারসহ বেশ কয়েকজন সিবিআই আধিকারিক। তবে জেরাপর্বের পরেই মুকুলের ফ্ল্যাটে সিবিআইয়ের এই অভিযান তাঁর দোষী হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে এখনও সিবিআইয়ের তরফে কিছু জানানাে হয়নি।

সিবিআই সূত্রে জানা যায়, জেরার মুখে এসএমএইচ মির্জা বলেছিলেন যে, তিনি মুকুলকে প্রায় এক কোটি সত্তর লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। কোথায় গিয়ে তিনি সেই টাকা দিয়েছিলেন তার উত্তরে মির্জা মুকুল রায়ের এলগিন রােডের ফ্ল্যাটের কথা উল্লেখ করেন। তাই রবিবার সেই টাকা লেনদেনের ঘটনা পুনর্নির্মাণ করতেই মির্জাকে নিয়ে মুকুলের ফ্ল্যাটে যান পাঁচ সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল। সেখানে মির্জা তদন্তকারীদের বলেন যে, লিফট ব্যবহার করেছিলেন। সেইমত লিফটেই মির্জাকে নিয়ে তিনতলায় মুকুলের ফ্ল্যাটে যান সিবিআই আধিকারিকরা। গােপন জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলে দীর্ঘক্ষণ ধরে।

সূত্র মারফত প্রকাশ, মুকুলের ফ্ল্যাটে গিয়ে প্রথমে তাঁকে পৃথকভাবে এবং পরে মির্জার সঙ্গে তাঁকে মুখােমুখি বসিয়ে পুনরায় একদফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখানে নারদ কাণ্ডের স্টিং অপারেশনের ফুটেজ দেখানাে সহ টাকা লেনদেনের বিষয় সম্পর্কে তাদের বক্তব্যের ভিডিও রেকর্ডিংও করা হয় এদিন।


গােপন সূত্রে জানা যায়, মুকুল রায় কোনও ভাবেই টাকা লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করেননি। তাঁর একই বক্তব্য, নারদা কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল তাঁর কাছে এসেছিল ব্যবসায় সহযােগিতা চাইতে। সেই সংক্রান্ত সহযােগিতাই তিনি করেছিলেন। কিন্তু টাকার কোনও লেনদেন সেখানে হয়নি।

তিনি আরও জানান, ‘আমাকে টাকা নিতে কেউ দেখেনি। তদন্তে আমি সম্পূর্ণ সহযােগিতা করব এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যতবার ডাকবে, ততবারই আসব’। যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুকুল রায়কে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। টাকা লেনদেনের বিষয়টি মুকুল অস্বীকার করলেও সেকথা যে সিবিআই আধিকারিকদের মনঃপূত নয়, তা এদিন তাঁর বাড়িতে অভিযানেই স্পষ্ট।