সিবিআইয়ের হাতে পার্থর বিরুদ্ধে ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ’

নিয়োগ দুর্নীতির জাল কতদূর বিস্তৃত তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে টেট দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের হাতে উঠে এসেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই নথি যাচাই করেই প্রমাণ হয়েছে যে টেট দুর্নীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগ ছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।

চলতি বছরের জুন মাসে বিকাশ ভবনে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় সিবিআই। বিকাশ ভবনের এক গুদাম থেকে উদ্ধার হয় বস্তাভর্তি নথিপত্র। শিক্ষা দপ্তরের বিভিন্ন কাগজপত্র রাখার জন্য ওই গুদামটি ব্যবহার করা হত। তদন্তের স্বার্থে ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর ওই গুদামটি সিল করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেই গুদামে তল্লাশি চালিয়েই বহু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করে সিবিআই।

সিবিআই সূত্রে খবর, উদ্ধার হওয়া নথির মধ্যে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষা অর্থাৎ টেট প্রার্থীদের ৭৫২ জনের তালিকাও ছিল। কিন্তু ওই তালিকায় নাম থাকা অধিকাংশ প্রার্থীই ‘অযোগ্য’। সিবিআই সূত্রে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ওই ‘অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা গিয়েছিল এক আমলার কাছে। সেই তালিকা পাঠিয়েছিলেন খোদ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই! সেই তালিকা থেকে ৩১০জনের চাকরিও হয় বলে খবর। শুধু পার্থই নয়, বাজেয়াপ্ত নথি বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিরও নাম পাওয়া গিয়েছে বলে খবর সিবিআই সূত্রে।


পুজোর আগে গরু পাচার মামলা থেকে শুরু করে একাধিক মামলায় বহু হেভিওয়েটের জেলমুক্তি ঘটেছে। সেই থেকেই প্রশ্ন উঠছিল, তবে কি পুজোর আগে ছাড়া পেতে চলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও? তবে জেলমুক্তি তো দূর, উল্টে বিপদ আরও বাড়ে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। গত ১ অক্টোবর বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানো হয় পার্থকে। সেদিনই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারের আবেদন জানায় সিবিআই। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুরও করে। এর পরই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এরই মাঝে সিবিআইয়ের উঠে এল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যা পার্থের জেলমুক্তির পথে নিঃসন্দেহে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াল।