• facebook
  • twitter
Wednesday, 4 December, 2024

পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে মামলা হাইকোর্টে

পুলিশের অনুমান ছিল, অবিবাহিত লিজা বাবার চাকরি পেলেও পরবর্তী কালে তাঁর ভাই সাবালক হয়ে সেই চাকরির দাবি জানাতে পারে। তখন লিজ়ার বিয়ে হয়ে গেলে তিনি চাকরির দাবি হারাতে পারেন।

প্রতীকী চিত্র

খুনের মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে পুলিশ গ্রেফতার করে খড়্গপুরের বাসিন্দা সোনুকুমার বর্মাকে। পরে পুলিশি হেফাজতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। গত অক্টোবরে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর এই ঘটনায় এ বার সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। আগামী বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।

মামলাকারী প্রণয় বসাকের দাবি, গত ১১ অক্টোবর শরীরে আঘাত লেগে সোনুকুমারের মৃত্যু হয়েছে। খড়্গপুর সদর থানায় পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়েছিল বলে আদালতে দাবি করেছেন প্রণয়ের আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাই কোর্টে।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে কয়েক দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর খড়্গপুর টাউন থানার অন্তর্গত ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে রেলের একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয় এক নাবালকের পচাগলা দেহ। ওই কিশোরকে খুনের অভিযোগে তার দিদি লিজ়া কুমারী এবং দিদির বন্ধু সোনুকুমারকে গ্রেফতার করে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, ওই কিশোরের বাবা রেলের কর্মচারী ছিলেন।

চাকরি করতে করতেই তিনি বছর খানেক আগে মারা গিয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, তাঁর চাকরি তাঁর সন্তানদের মধ্যে এক জন পাবেন। পুলিশের অনুমান ছিল, অবিবাহিত লিজা বাবার চাকরি পেলেও পরবর্তী কালে তাঁর ভাই সাবালক হয়ে সেই চাকরির দাবি জানাতে পারে। তখন লিজ়ার বিয়ে হয়ে গেলে তিনি চাকরির দাবি হারাতে পারেন। সেই কারণে ভাইকে লিজ়া খুন করেছেন বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা হয় তদন্তকারীদের একাংশের। এই গ্রেফতারির কয়েক দিনের মধ্যেই পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় সোনুকুমারের।