• facebook
  • twitter
Friday, 15 November, 2024

অনুষ্ঠিত হল কেয়ারিং মাইন্ডস ইন্টারন্যাশনালের সমাবর্তনী অনুষ্ঠান, উপস্থিত ছিলেন মার্কিন কনসাল জেনারেল

উপস্থিত ছিলেন কেয়ারিং মাইন্ডস ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা ড. মিনু বুধিয়াও।

কেয়ারিং মাইন্ডস ইন্টারন্যাশনালের চতুর্থ সমাবর্তনী অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল মানসিক স্বাস্থ্য সংস্থা ‘কেয়ারিং মাইন্ডস ইন্টারন্যাশনাল’-এর অ্যাকাডেমিক শাখা ‘আকাদেমিয়া’-এর চতুর্থ সমাবর্তনী অনুষ্ঠান – ‘কেয়ারিং মাইন্ডস ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমা ইন সাইকোলজিকাল কাউন্সেলিং গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনি’। উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় মার্কিন দূতাবাসের কনসাল জেনারেল ক্যাথি গাইলস-ডিয়াজ। ৩৫ জন ডিপ্লোমাধারীর হাতে শংসাপত্র তুলে দেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন কেয়ারিং মাইন্ডস ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা ড. মিনু বুধিয়াও। এই পাঠ্যক্রমটি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় স্বীকৃত।

ক্যাথি জানান, ‘আজ আমার কেয়ারিং মাইন্ডস ইন্টারন্যাশনালে আসার সৌভাগ্য হয়েছিল। এই প্রতিষ্ঠানের কাজ আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছে। কেয়ারিং মাইন্ডস ইন্টারন্যাশনালের কাউন্সেলিং কোর্সের গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয়েছিল আজ। আমার মনে হয়, এর থেকে মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে খোলাখুলি কথা বলা এবং মানুষের পাশে থাকার জন্য আরও বেশি কাউন্সেলরদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার গুরুত্ব উঠে এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বের উপর নজর দেওয়ার প্রবণতা বর্তমানে বাড়ছে, যেটা আমার মতের ভারতের ক্ষেত্রেও সত্যি। অতএব, কেয়ারিং মাইন্ডস ইন্টারন্যাশনালের উদ্যোগকে স্যালুট। সেই সঙ্গে সমস্ত স্নাতক পড়ুয়াদের আমার শুভেচ্ছা জানাই। বেশি করে কাউন্সেলর থাকাটা খুবই ভালো ব্যাপার। আপনাদের এই পদক্ষেপ ভীষণ ইতিবাচক।’

ড. মিনু বুধিয়া বলেন, ‘আমি জীবনের পড়ুয়া এবং জীবনভর পড়ুয়া। এরকমই এক কোর্সের মাধ্যমে আমার পথচলা শুরু হয়েছিল। তারপর আরও অনেক কোর্স করেছি আমি, বিয়ের ২০ বছর পরেও। মানসিক স্বাস্থ্যকে ঘরে ঘরে খাবার টেবিলের আলোচনার বিষয় করে তোলাই আমার লক্ষ্য। আর, এই লক্ষ্যপূরণের জন্য আমাদের প্রয়োজন আরও কাউন্সেলর দরকার। এই অনুষ্ঠানটি খুবই প্রয়োজনীয়, কারণ প্রত্যেক স্নাতক আমাদের আরও শংসাপ্রাপ্ত মানসিক স্বাস্থ্য পেশাদারদের উদ্দেশ করার আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। প্রত্যেকজন পড়ুয়াকে আমার শুভেচ্ছা, যাঁরা অধ্যবসায়ের সঙ্গে পরিশ্রম করে এই মাইলফলক ছুঁতে পেরেছেন।’