মমতা ছাড়া ইন্ডিয়া জোটের কথা ভাবা যায় না: জয়রাম রমেশ

নিউ দিল্লি, ২৪ জানুয়ারি: গতকাল রাহুল গান্ধী গুয়াহাটি থেকে কালিঘাটকে সমঝোতা বার্তা দিয়ে জোট দ্বন্দ্বে জল সিঞ্চন করলেও চিঁড়ে ভিজল না। নিজের সিদ্ধান্ত ও সমীকরণে অবিচল রইলেন বাংলার অগ্নিকন্যা। তিনি আজ হাওড়াতে গিয়ে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেন, রাজ্যে একাই লড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সর্বভারতীয় স্তরে জোটের বিরোধিতা না করলেও রাজ্য সম্পর্কে তাঁর সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করতেই শোরগোল পড়ে যায় জাতীয় রাজনীতিতে। ফলে পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন তৃণমূল নেত্রীর স্তুতি শুরু করেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

আজ, বুধবার অসমের বরপেটায় দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, “মমতা ছাড়া ‘ইন্ডিয়া’ জোটের কথা ভাবাই যায় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন উনি বিজেপিকে হারাবেন। আমরাও বিজেপিকে হারাতে সবরকমভাবে সহযোগিতা করব। রাহুল গান্ধী স্পষ্ট বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। মমতাদি ছাড়া ইন্ডিয়া জোট অসম্পূর্ণ। বাংলায় জোট করেই লড়বে ইন্ডিয়া।”

অর্থাৎ জয়রাম রমেশের কথায় বিষয়টি এরকম দাঁড়ায়, মমতা বাংলায় একা লড়াই করলেও ইন্ডিয়া জোট তাঁর সেই লড়াইকে সমর্থন জানাবে। পাশাপাশি, এদিন জয়রাম রমেশ রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা প্রসঙ্গে মমতার অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, “আমাদের সভাপতি ইন্ডিয়া জোটের সমস্ত দলকে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রায় যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।”


প্রসঙ্গত মমতা এদিন অভিযোগ করেন, “আমরা আসন সমঝোতার ব্যাপারে কংগ্রেসকে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কংগ্রেস কোনও সাড়া দেয়নি। তারপর আমরা দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বাংলাতে আমরা একাই লড়ব।কংগ্রেস তাঁদের নিজেদের ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারে। সেজন্য আঞ্চলিক দলগুলি সঙ্গে আছে। তবে বাকি আসনগুলিতে আঞ্চলিক দলগুলিই প্রার্থী দেবে।”