বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ মাদ্রাসায় পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিল। এদিন বিচারপতি রায়দানে স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ‘আদালতের নির্দেশ ছাড়া ফলপ্রকাশ করা যাবে না’। প্রসঙ্গত, ২০২৩-এ নিয়োগের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হয়।তাতে চাকরি প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হওয়ার নিদিষ্ট তারিখ দেওয়া ছিল, তারপরেও প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা নিয়োগে অংশগ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ। সেই প্রক্রিয়াকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন প্রচুর শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
চলতি বছরের সপ্তম স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট (এসএলএসটি)-এর মাধ্যমে সম্ভাব্য মোট ১৭২৯টি শূন্যপদে সহকারি শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সহকারি শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৯০ নম্বরের মেন পরীক্ষা এবং ১০ নম্বরের ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। মোট ১০০ নম্বরের ভিত্তিতেই মেধাতালিকা প্রস্তত করে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
সূত্রের খবর, রাজ্যের ৬১৪টি মাদ্রাসায় বেশ কিছু দিন ধরেই আটকে রয়েছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। তার মধ্যে হাইকোর্টের এই নির্দেশ স্বাভাবিকভাবেই চাপের মুখে চাকরিপ্রার্থীরা। ২০২৩ সালে মাদ্রাসা স্কুলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। আদালতে দায়ের করা মামলায় মামলাকারীদের অভিযোগ, ‘চাকরি প্রার্থীদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হওয়ার যে তারিখ বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া ছিল, তারপরেও প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরা নিয়োগে অংশগ্রহণ করেছে, যা নিয়মবিরুদ্ধ’। অভিযোগ, পুরো প্রক্রিয়ায় স্বজনপোষণ করা হয়েছে এনিয়েই মাদ্রাসা কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। আগামী ১ মে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে বলে জানা গেছে ।