১ অক্টোবর ডক্টরস ফোরামের মিছিলের জন্য অনুমতি প্রদান করল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মিছিলটি আজ সন্ধ্যা ৫টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। মিছিলটি কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত পৌঁছাবে। যদিও রবীন্দ্রসদন পর্যন্ত যাওয়ার অনুমতি পুলিশ আগেই দিয়েছিল। কিন্তু বৌবাজার, হেয়ার স্ট্রিট, এবং ট্রাফিক হেড কোয়ার্টার তিনটি থানার অন্তর্গত কেসি দাস থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত প্রায় ৫০ মিটার রাস্তার অংশে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সেখানে মিছিলের অনুমতি ছিল না। মামলার শুনানির সময় বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ মিছিলে আসন্ন অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা জানতে চান। মিছিলের পক্ষের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, বড় সংখ্যক মানুষের জমায়েত হবে এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। বিচারপতি এরপর বলেন, জমায়েতের অংশগ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা জানা জরুরি, কারণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা প্রশাসনকেই করতে হবে। আইনজীবী ভট্টাচার্য জানান, কলকাতা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিছিলের সঠিক তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে।
শুনানির সময় অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে মিছিলের অনুমতি ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জমায়েতের সংখ্যা এখনও নির্দিষ্ট নয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, পুলিশ মিছিল বন্ধ করতে পারবে না, তবে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করতে হবে।
বিচারপতি এরপর জানতে চান, শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের নিয়মাবলী কী এবং কোন পরিস্থিতিতে পুলিশ বাধা দিতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তরে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, মিছিল শান্তিপূর্ণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে, কিন্তু কোনও অঘটন ঘটলে পুলিশকে সক্রিয় হতে হবে। এজন্য সব রকম পরিস্থিতির জন্য পুলিশকে সতর্ক থাকতে হবে। জমায়েতের সঠিক সংখ্যা জানলে পুলিশের পক্ষে কার্যক্রম সহজ হবে।
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, মিছিলে ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন এবং সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী, শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বাধা দিতে পারবে না। অ্যাডভোকেট জেনারেল আরও বলেন, জমায়েতের সংখ্যা, মিছিলের রুট, এবং কোথায় মিছিল শেষ হবে, এসব বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি। বিশেষ করে ধর্মতলা এলাকায় ভিড় বৃদ্ধি পাওয়ায় ট্রাফিক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ট্রাফিক সমস্যায় পড়ে সাধারণ মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকেও প্রশাসনকে নজর দিতে হবে।