• facebook
  • twitter
Wednesday, 19 March, 2025

নদিয়ায় জাতপাতের বেড়াজালে মন্দিরে ঢোকা নিয়ে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট

জাতপাতের প্রভাব এই বাংলাতেও? তফশিলি জাতির লোক বলে শিব মন্দিরে ঢুকতে পারছেন না, এমনই অভিযোগ উঠেছে নদিয়া জেলায়।

কলকাতা হাইকোর্ট। ফাইল চিত্র।

জাতপাতের প্রভাব এই বাংলাতেও? তফশিলি জাতির লোক বলে শিব মন্দিরে ঢুকতে পারছেন না, এমনই অভিযোগ উঠেছে নদিয়ায়। সেই অভিযোগ শুনে বিরক্ত হন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি। এই ক্ষেত্রেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। বাংলার বুকে এমন পরিস্থিতি কেন তৈরি হবে? সোমবার সেই প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

এলাকাবাসীদের একাংশের অভিযোগ, ‘তফসিলি জাতির লোক হওয়ায় সেই শিব মন্দির ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে না।’ এই অভিযোগ অভিযোগ নিয়েই মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। এদিন সেই অভিযোগ শুনে চরম বিরক্ত বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এদিন তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কী করে এটা হয়? পুলিশের ভূমিকা কী?’ বিচারপতি বলেন, ‘একটা মানুষ তার অধিকার পাবে না! এটা তো বাংলায় ছিল না। এমন সমস্যা এখনও বাংলায় নেই এটা বিশ্বাস করি। কেন তারা উৎসবে যোগ দিতে পারবে না! কীসের ইগো? তাহলে পুলিশ কী করছে?’

বিচারপতি বলেন, ‘আবারও বলছি এই সমস্যা বাংলায় ছিল না। তাহলে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে এটা পুলিশের অক্ষমতা।’ ওসি নয়, কোনও সিনিয়র অফিসারকে দায়িত্ব নিতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। হাইকোর্টের নির্দেশ, ‘এই ঘটনার পিছনে যদি অন্য কোনও কারণ থাকে, তাহলে সেটাও খুঁজে দেখা পুলিশের কাজ।’ সব খতিয়ে দেখে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া নির্দেশ দিয়েছে আদালত।ওই মন্দিরটি যে সাধারণের ব্যবহারের জন্য রয়েছে, সেই নথি রয়েছে। কিন্তু এলাকার ধোপা সম্প্রদায়ের লোকজনকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাঁরা গাজনে অংশ নিতে চান। সৃজন হাঁসদা নামে এক ব্যক্তি এই মামলা করেছেন। জেলা প্রশাসন মীমাংসা করে নিতে বলেছিল বিষয়টি।

আগামী গাজনের মেলায় সন্ন্যাসী হতে চান ও শিব মন্দিরে ঢোকার অনুমতি চান ওই তফসিলি জাতির বাসিন্দারা। অভিযোগ শুনে চরম বিরক্ত কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সাফ প্রশ্ন, ‘কি করে এটা হয়? পুলিসের ভূমিকা কী? একটা মানুষ তার অধিকার পাবে না! এটা তো বাংলায় ছিল না। এমন সমস্যা এখনও বাংলায় নেই বলে বিশ্বাস করি। তবে কেন তারা উৎসবে যোগ দিতে পারবে না! কিসের ইগো? তাহলে পুলিস কী করছে? আবার বলছি, এই সমস্যা বাংলায় ছিল না। তাহলে বলতে বাধ্য হচ্ছি, এটা পুলিসের অক্ষমতা।’