সম্প্রতি পার্থকাণ্ডে ধাক্কা খেয়েছে মন্ত্রিসভার গ্রহণযোগ্যতা। কোটি কোটি টাকা আর্থিক তছরূপের জন্য ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূলের ভাবমূর্তি।
সেকথা উপলব্ধি করেই সোমবার মন্ত্রিসভার শুরুতেই মন্ত্রিসভার সদস্যদের সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম না করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন এমন কাজ করবেন না যাতে দল ও মন্ত্রিসভার অসম্মান হয়।
এই বিষয়ে সকলকে সতর্ক হতে হবে। মন্ত্রিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সতর্কবাণী বর্তমান পরিস্থিতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
তৃতীয়বার মন্ত্রিসভা গঠনের পরে এই ধরনের হুঁশিয়ারি আগে দিতে শোনা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
সোমবার তাঁর এহেন উক্তি বুঝিয়ে দেয় সরকারের পাশাপাশি দলীয় নেতাদেরও নিজেদের কাজকর্মে অনিয়মের বিরুদ্ধেও অসন্তুষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত ২৩ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট (ইডি)। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়।
এরপর গত বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন আইনিভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরে দলের কারও শাস্তি হলে ‘আই নেভার মাইন্ড’।
তৃণমূল অন্যায়কে বরদাস্ত করবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই মন্ত্রিত্ব এবং দলীয় সব পদ থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরানোর আওয়াজ ওঠে দলের অন্দর থেকেই।
এরপর বৃহস্পতিবার তৃণমূলের মহাসচিবসহ সব পদ ও রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
তখন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছিলেন বিচারব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করে সসম্মানে দলে ফিরুন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আমরা দুর্নীতির সঙ্গে আপস করি না। যতবড় নেতা, বিধায়ক, সাংসদ মন্ত্রী হোক না তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না।
সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রিসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সতর্কবাণী দলীয় ভাবনাচিন্তারই প্রতিফলন বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।