• facebook
  • twitter
Wednesday, 30 October, 2024

ভোটের একদিন আগে হলেও সিএএ লাগু হবেই: শান্তনু ঠাকুর

কলকাতা: ‘ভোটের একদিন আগে হলেও সিএএ লাগু হবেই’ জানালেন শান্তনু ঠাকুর। গতকাল বৃহস্পতিবার হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোট প্রচার শুরু করেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি এদিন নাটমন্দিরে যান। কয়েকশো বিজেপি কর্মী সমর্থক তাঁকে বরণ করে নেন। পুনরায় প্রার্থী হওয়ার জন্য তাকে শুভেচ্ছাও জানানো হয়। এদিনই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিএএ লাগু হওয়া নিয়ে আরও একবার সুর

কলকাতা: ‘ভোটের একদিন আগে হলেও সিএএ লাগু হবেই’ জানালেন শান্তনু ঠাকুর। গতকাল বৃহস্পতিবার হরিচাঁদ গুরুচাঁদ মন্দিরে পুজো দিয়ে ভোট প্রচার শুরু করেন শান্তনু ঠাকুর। তিনি এদিন নাটমন্দিরে যান। কয়েকশো বিজেপি কর্মী সমর্থক তাঁকে বরণ করে নেন। পুনরায় প্রার্থী হওয়ার জন্য তাকে শুভেচ্ছাও জানানো হয়। এদিনই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিএএ লাগু হওয়া নিয়ে আরও একবার সুর চড়ান শান্তনু ঠাকুর। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, ” “সিএএ লাগু হবেই।

ভোটের একদিন আগে হলেও হবে। তার জন্য সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ।” এর আগে বুধবারই বারাসতে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেদিন তিনি সভামঞ্চ থেকে সিএএন নিয়ে কিছু বলেনি? এই প্রশ্নই অবশ্য শান্তনু বলেন, ” আমরা সব কিছু বলে দিয়েছি। প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কেন বলবেন?” উল্লেখ্য এই প্রথম আর নয় এর আগেও একাধিক বার সিএএ লাগু হবে বলেই আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গিয়েছিল শান্তনু ঠাকুরের গলায়। ২৮ জানুয়ারি তিনি দাবি করেছিলেন,” যারা ১৯৭১ সালের পরে এসেছেন, তাদের নাগরিকত্ব দরকার। কারণ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত করতে হবে। বিজেপি সরকার সিএএ চালু করলে আর কোনও সরকারের ক্ষমতা নেই, আমাদের যখন খুশি ঘাড়ধাক্কা দিয়ে দেশ থেকে বার করে দেয়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করবে।” অবশ্য তার কয়েকদিনের মধ্যেই ভোল পালটে ছিলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ। দাবি করেছিলেন, ” এক সপ্তাহের মধ্যে রুল ফ্রেম ( নীতি প্রণয়ন) সম্পন্ন হবে বলতে গিয়ে মুখ ফসকে গিয়েছিল। কিন্তু সিএএ কিছুদিনের মধ্যে লাগু হবে এটা ১০০% গ্যারান্টি।” এবার আবার লোকসভা ভোটের মুখে ফের সিএএ ইসুকে হাতিয়ার করতে চাইছে শান্তনু। দিল্লিতে দ্বিতীয় মোদি সরকার গঠনের পরে ২০১৯ সালে এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস করানো হয়েছিল। কিন্তু মাঝে বেশ কয়েকটি বছর কেটে গেলেও সেই আইন এখনও কার্যকর করা হয়নি। মোদি এ রাজ্যে এসে সভা করার সময় সিএএ নিয়ে কোনও কথাই বলেননি। তাই সিএএকে নিয়ে শান্তনু ঠাকুরের এই দাবির মধ্যে কতটা সারবত্যা রয়েছে তাই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।