খড়গপুর এবং সংলগ্ন এলায় তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের ছবি সহ অসংখ্য ফ্লেক্স লাগানােকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্ছন। এই ফ্লেগুলির কোথাও লেখা ‘টাইগার ইন খড়গপুর’, ‘টাইগার ইজ ব্যাক’ কোথাও ‘টাইগার অভি জিন্দা হ্যায়’ আবার কোথাও ‘জয় গুরু আকশন শুরু’।
কেন গুঞ্জন? এর আগে খড়গপুর শহরে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে পােস্টার পড়েছিল। সেই শুভেন্দু তারপরেই বেসুরে বাজতে শুরু করেন। শেষে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যােগ দেন। তারপর রাজীব ব্যানার্জির পালা। তাঁর ছবি দেওয়া পােস্টারেও মুখ ঢেকেছিল শহর। এর কিছুদিন পরেই বেসুরে বাজেন রাজীব। তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন খাতে বইবে, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে।
এবারে মদন মিত্র। তাহলে আগামী দিনে তিনিও কি বেসুরে বাজবেন, এই প্রশ্নই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। দ্বিতীয় একটি সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। খড়গপুর সদরে উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রদীপ সরকারের জয়ে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ার পর প্রদীপ কোন দিকে হাঁটেন, তা নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে। বিকল্প প্রার্থী হিসেবে তাই কি মদন মিত্রকে তুলে ধরার চেষ্টায়। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, কারও সঙ্গে আলােচনা করে কেন এই পােস্টার দেওয়া হল, তা জানার চেষ্টা করব।
সন্দীপ রায় বলে একজন যুব তৃণমূল নেতার নাম উঠে আসছে ওর সঙ্গে কথা বলব। ‘অজিতবাবু জানান, মদন মিত্রের সঙ্গে নেতাইয়ের কথা হয়েছে। উনি জানিয়েছেন এই ধরনের কোনও পােস্টার তিনি দেননি বা কাউকে দিতে বলেননি। অজিতবাবুর মন্তব্য, একটা কারণে এই পােস্টারকে স্বাগত জানাব, ছবির নীচে কেউ বেইমান লেখেনি, টাইগার লিখেছে।
পােস্টার বিতর্কে বিজেপি জেলা সহসভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, এই সব পােস্টার দিয়ে খড়গপুরে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা চলছে। খড়গপুরের মাটি বিজেপির ঘাঁটি। আগামী নির্বাচনে বিজেপিই এখানে জয়লাভ করবে।